মোঃ মোশাররফ হোসেন : কোথায় তোমার বাড়ি করোনা, আজও কেউ বলতে পারেনা । বলতে চায়না তুমি কীভাবে এলে ? তুমি কী প্রকৃতির সৃষ্টি । না মানব সৃষ্ট অনুজীব । এটা এখনও বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চলেছে । বাংলাদেশের জীববিজ্ঞানী তোমার জীবনরহস্য আবিষ্কার করেছে মাত্র । কিন্তু তোমার চরিত্র ও বৈশিষ্ট নিয়ে গবেষণা করে এখন তোমাকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিষেধক টিকা তৈরি করতে বিশ্ব ব্যস্ত । চলছে টিকার পরীক্ষামূলক উৎপাদন ।
একই সংগে বিশ্ববাজার দখল প্রতিযোগিতা । এখানে মানবতা বিপন্ন । কোন দেশ আগে টিকা তৈরি করে বিশ্ব বাজারে ছাড়বে তা নিয়ে গোপনীয়তা
রক্ষা করে চলেছে বিশ্ব পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র , রাশিয়া , চীন , যুক্তরাজ্য , ফ্রান্স । ইউরোপের বিভিন্ন দেশও আছে এ দৌড়ে । অষ্ট্রেলিয়া ও কানাডা পরীক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছে ।
এ মূহুর্তে রাশিয়া স্পুটনিক ৫ ও চীন সেনোপ্যাক টিকা নিজ দেশে তৃতীয় দফা প্রয়োগ করে সাফল্যেও আশা করছে । মাত্র দুইদিন আগে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্টাজেনকার তৈরি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আবার শুরু করেছে । এরকম বিভিন্ন ব্রান্ডের টিকার ১৮০টি ছাড়পত্রের আবদেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনাধীনে রয়েছে।এরকম অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ । ২০২০সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় কোভিড ১৯ এর মহামারি । এ পর্যন্ত ২ কোটি ৮৭ লক্ষাধিক মানুষ এতে সংক্রমিত হয়েছে ।মারা গেছে ৯ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি ।
বাংলাদেশে ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন । সুস্থ হয়েছে ২ লক্ষ ৩৬ হাজারের বেশি । মারা গেছেন ৪ হাজার ১৩৬ জন।মৃতের হার বর্তমানে ৫০ ভাগ কমেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে । অন্যদিকে মহাপরাশক্তিধর দেশ যুক্তরাস্ট্র , ব্রাজিল , রাশিয়া , ভারত মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ । এরপর ইরানসহ ইউরোপীয় দেশ যুক্তরাজ্য ,ফ্রান্স ,ইতালি , স্পেন ,জার্মানিসহ অন্যান্য দেশ ।
অথচ কী চলছে যুক্তরাস্ট্র ,রাশিয়া ও চীনের মধ্যে চলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে কে কার আগে করোনা টিকা বিশ্বজুড়ে বিক্রয় করবে । এ নিয়ে এই প্রথমবারের মত বিশ্ব নেতৃত্বের মহাসংকট দেখা যাচ্ছে । যা গত দুটি বিশ্বযুদ্ধকালে দেখা যায়নি। যুক্তরাস্ট্র জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেড়িয়ে গেছে । করোনা টিকাকে আগামী নির্বাচনের আগে প্রয়োগ করে রাস্ট্রপতি নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার চেস্টা করতে পারে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে । কোথায় গেল মানবতা ? এখন মানবতাবাদি সংগঠনগুলো কিছু বলছেনা । আসলে মানবতাবাদি সংগঠনগুলো চলে বিশ্ব ক্ষমতাধর দেশের অনুদানে । এজন্য বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সব মানুষকে নিজের নিরাপদ জীবন কিসে তা বুঝতে হবে । স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপনের বিকল্প নেই । বদলে যাওয়া জীবনযাপন করে এগিয়ে যেতে হবে । টিকায় জীবন বাঁচাবে না, মৃত্যুঝুঁকি আছে তা দেখতে হবে ।মনে রাখতে হবে এ লড়াই বাঁচার লড়াই ,, এ লড়াই মরণজয়ী করতে হবে ,, ।