আগামীকাল বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন ও বছরে ৫৫ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করেন। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদান, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ান’।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে কুকুর কামড়জনিত জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে হবে। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জলাতঙ্ক নির্মূলে ব্যাপকহারে কুকুর টিকাদান কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২০ পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে দেশব্যাপী ব্যাপকহারে কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত দেশের ৬৪ টি জেলা সদর পৌরসভা ও ১০টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৬০ টি জেলার সকল উপজেলায় ১ম রাউন্ড, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর,পাবনা, নীলফামারী জেলায় ২য় রাউন্ড এবং সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় ৩য় রাউন্ড টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩০ সংখ্যক কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪টি জেলায় প্রথম রাউন্ড ও ১৬টি জেলায় দ্বিতীয় রাউন্ড আরও আনুমানিক ৫ লাখ কুকুরকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
করণীয় কর্মকৌশলের আলোকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি মিলিয়নে ১ জনের কম জলাতঙ্ক নির্মূল এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সকল দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক সহযোগি সংস্থার সাথে কাজ করছে।