একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের সেই বীরত্ব গাঁথা তাদের কণ্ঠেই ধারণ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দু-তিন মাসের মধ্যে ‘বীরদের কণ্ঠে বীরগাঁথা’ শিরোনামে সেসব কাহিনী ধারণ শুরু হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে গবেষণা গ্রন্থ নৌ-যুদ্ধ একাত্তরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে একটি কর্মসূচি নিয়েছি বীরের কণ্ঠে বীর গাঁথা। জীবিত মুক্তিযোদ্ধার মৌখিক ভাষ্য আমরা ১৫ থেকে ২০ মিনিটে শুনতে চাই, সেটা আর্কাইভে রাখব। যতদিন এই পৃথিবী থাকে ততদিন যেন সংরক্ষিত হয়।
আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে রেকর্ড করা শুরু করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তির (বীর মুক্তিযোদ্ধ) বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেকর্ড করবে এবং সেগুলো সারাজীবন সংরক্ষিত থাকবে।
তিনি বলেন, ১৫-২০ মিনিট ভিডিও করে রাখব কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে এলেন, অভিজ্ঞতা কী। ভবিষ্যতে ইতিহাসবিদরা সঠিক ইতহাস লিখবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মাহবুব এলাহী বীর প্রতীক, নৌ কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুস সত্তার বীর প্রতীক, রবিউল আলম বীর উত্তম, ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডার অ্যাসোসিয়েসনের কো-চেয়ারম্যান হাবিবুল হক খোকন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।