মোশাররফ হোসেন: ওরা এসেছিল পড়তে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার মানসে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন প্রদীপ নিভে গেছে ।
আজ শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্তর জানাজার নামাজ পড়ে চিরবিদায জানালো টরেন্টোযয় ভিক্টোরিয়া পার্ক ও এসকারবোরো আবেদীন মসজিদে উপস্থিত পাঁচ শতাধিক বাঙালি। পরিবার দিবসে ছুটি থাকায় খোঁজ পেয়ে নামাজে তারা উপস্থিত হন।
জানাজার আগে টরেন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল লুৎফুর রহমান, শাহরিয়ার ও আরিয়ান দীপ্তর হামবার কলেজের ব্যবসা অনুষদের ডিন এলুউনা কেসিয়ান, এন্ড্রু নেস, মরদেহ সেবা প্রতিষ্ঠান ইকো ও বাংলাদেশ কানাডা ইসলামিক মরদেহ সেবা কেন্দ্রের মসরুজজামান দুলু সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন।
এসকারবোরো সাউথওয়েসট এলাকার বাঙালি এমপিপি ডলি বেগম ছাত্রদের অকাল মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল লুৎফুর রহমান বলেন, এ মৃত্যু ছিল অনাকাঙিক্ষত । সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট সার্বক্ষণিক সবকিছু পরিচর্যা করছে।
তিনি ছাত্র ছাত্রীদের অকাল মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
হামবার কলেজের অধ্যাপক এলুউনা কেসিয়ান বলেন , তাদের মৃত্যুতে কলেজে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হামলার কলেজের পক্ষে আমরা মর্মাহত ও বেদনায় নীল। পরিবারের সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
বিপুল সংখ্যক মানুষের সংগে কথা বলে জানা গেছে, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালিয়ে যেন আর কোন বাঙালির মৃত্যু না হয়। তারা সব সময় সন্তানদের খোঁজ রাখার পরামর্শ দেন। তারা বলেছেন, স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়।
মরদেহ পোড়েনি, ক্ষত নেই…
বাংলাদেশ কানাডা মরদেহ সেবা কেন্দ্রের পরিচালক মশরর দুলু বলেন, শাহরিয়ার ও আরিয়ান দীপ্ত র মরদেহ গোসল করানোর সময় শরীর পোড়া ও ক্ষত দেখা যায় নি। হাসপাতালের মৃত্যু সনদ ও পুলিশ রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যু কারণ জানা যাবে ।
আরিয়ান ও শাহরিয়ার এর মরদেহ ঢাকা যাচ্ছে শীঘ্রই
মরদেহ সেবা কেন্দ্র ইকো ও ইসলামী কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে আরিয়ান ও শাহরিয়ার খান এর মরদেহ ঢাকা পাঠানোর জোর চেষ্টা চলছে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে তারা । তবে মরণ সনদ, পুলিশ রিপোর্ট মিলেছে। ইনসুরেন্স, বিমান বন্দর কার্গো এজেন্ট এর কাজ শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ বিমান ও এমিরাটস বিমানে তাদের পাঠানোর জন্য কাজ চলছে। সব পেয়ে গেলেন আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে মরদেহ ঢাকা পাঠানোর জোর চেষ্টা চলছে ।