1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
January 17, 2025, 7:51 am

ভগবতীপুরের মাদ্রাসা ছাত্রী নাবালিকা লিমা অপহরণ থানায় অভিযোগকারীর উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি

  • প্রকাশিত : রবিবার, জুলাই ৩১, ২০২২
  • 228 বার পঠিত

মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরণ, থানায় অভিযোগকারীর উপর চাপ সৃষ্টি। যশোর সদর উপজেলার ১৪নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভগবতীপুর গ্রামে ১৩ বছরের নাবালিকা অপহরন হয়েছে। চারজন আসামী এই নাবালিকা লিমা কে অপহরনে জড়িত মর্মে নাবালিকার খালা পালিত মা কোতয়ালি মডেল থানায় ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার অভিযোগ
করেছেন।

এ সংক্রান্ত সংবাদ পত্র পত্রিকায় প্রকাশের পর আসামিরা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে। তারা অভিযোগ তুলে নিতে অভিযোগকারীর উপর প্রচন্ড চাপ সৃস্টি করেছে। এর ফলে লিমা উদ্ধার দুরে থাক তার খালা এখন উল্টো গ্রামে টিকতেই পারছেনা।

জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই বিকালে খালা বাড়ী থাকাকালীন সময়ে সতীঘাটা বাজারে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে অপহরন করে একই গ্রামের
ইকরাম হোসেনের পুত্র আল আমিন (২০), মৃত মকছেদ আলীর পুত্র ইকরাম হোসেন, রাজ্জাক আলীর কন্যা সুরাইয়া (২১), ইকরাম হোসেনের স্ত্রী মনি এই অপহরনে জড়িত।

লিমার খালা শাহানাজ পারভীন বলেন, লিমাকে আমি চার বছর থেকে মানুষ করছি। সকলে জানে সে আমার কন্যা। এ কারনে তাকে সব সময় সাজিয়ে গুছিয়ে রাখি। তার স্বর্নের অলঙ্কার দেখে অনেকের হিংষা হয়। এসব কারনে আসামিরা স্বর্নালঙ্কার আত্মসাৎ করতে লিমাকে অপহরনের ছক করে। লিমা যখন অপহরন হয় তখনো তার কাছে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের স্বর্নালঙ্কার স্বর্নের চেইন, কানের দুল ও আংটি ছিল।

এছাড়া কিছু নগদ টাকাও আসামিরা তার কাছ থেকে নিজ হেফাজতে নিয়েছে। লিমা বর্তমানে সতীঘাটা ভগবতীপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। লোক মুখে ঘটনাটি শুনে আমি আল আমিনদের বাড়ি যায়। কিন্ত তারা কোন সহযোগিতা করেনি। অপেক্ষার পর নিশ্চিত হয় আল আমিনই লিমাকে অপহরন করেছে।

এখন আসামীরা লিমাকে অপহরণ করে দুরবর্তী কোন স্থানে লুকিয়ে রেখে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করছে বলে মনে হচ্ছে। কেননা
অপহরনকারী আল আমিন বিভিন্ন জনের কাছে স্বীকার করেছে লিমা তাদের কাছে আছে। তবে লিমা কোথায় আছে তা বলছে না। এমনকি তাকে ফোনে কোথাও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছেনা। এটাও ভয়ের কারন। গ্রামের কিসমত বিশ্বাসের পুত্র শহিদুল, আবু জাফরের পুত্র মারিফুল, রিকাত হোসেনের কন্যা সোনিয়া আসামী কতৃক অপহরনের ঘটনা জানে।

৬নং ওয়ার্ড ভগবতীপুরের মেম্বর হজরত আলী বিষয়টি থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদেরকে।

সতীঘাটা ভগবতীপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রবিউল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, অপরহনকারী চক্রের মূলহোতা আল আমিন একজন চিহ্নিত বখাটে ও মাদকাসক্ত। আমরা ছাত্রী অপহরনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park