ভূমিকম্পের পর তুরস্কে উদ্ধার তৎপরতায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ধীরগতির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ তাদের। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলছেন, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো পূর্বপ্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়। স্মরণকালের এ ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে লাখো মানুষের জীবন। সময় যত গড়াচ্ছে ততোই বাড়ছে অনিশ্চয়তা। সর্বস্ব হারিয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অনেকে।
মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর তুষারপাত। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের ভেতর প্রাণের সন্ধানে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভয়াবহ ভূমিকম্পে বাড়ি-ঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ধসে পড়েছে বহু মহাসড়ক। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার কারণে তুরস্কের হাতায় ও সিরিয়ার আলেপ্পোর শহরের দুর্গম এলাকায় পৌছাতে পারছেন না উদ্ধার্মীরা। দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করতে না পারায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ তুরস্কের গাজিয়ানতেপসহ আশপাশের এলাকা। বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু রাস্তাা। ধসে পড়েছে সড়ক-মহাসড়ক। রাস্তাতেই পড়ে আছে অসংখ্য গাড়ি। শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভেঙে পড়েছে এসব অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের চারদিন পার হার হলেও কোনো এলাকায় এখনও শুরু হয়নি উদ্ধার তৎপরতা। এমনকি পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না ত্রাণ সহায়তাও।বাড়ি-ঘর হারিয়ে খোলাআকাশের নিচে চরম মানবেতরদিন পার করছেন এসবঅঞ্চলের বাসিন্দারা। দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু না হওয়ায়বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়ার আলেপ্পো শহরেও একই অবস্থা। বিভিন্নমহাসড়ক ধসে পড়ায় চলতেপারছে না কোনো যানবাহন।যুদ্ধকবলিত দেশটিতে ভূমিকম্প যেন মরার ওপরখারার ঘা হয়ে দেখাদিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছায় দেখাদিয়েছে মানবাবিক সংকট।