1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
September 11, 2024, 5:39 pm
সংবাদ শিরোনাম :

‘মাইন্ড এইড হাসপাতাল’ চলতো বাবুর্চি-ওয়ার্ডবয় দিয়ে

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, নভেম্বর ১০, ২০২০
  • 356 বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক : যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এএসপি আনিসুল করিম হত্যার শিকার হয়েছেন সেই হাসপাতালের কোনো অনুমোদন ছিলো না। হাসপাতালটির নাম ‘মাইন্ড এইড হাসপাতাল’। এটা রাজধানীর আদাবরে অবস্থিত।
হাসপাতালটি বাবুর্চি, ওয়ার্ডবয়, মার্কেটিং অফিসার ও কো-অর্ডিনেটর, কো-ম্যানেজার দিয়ে চলছিল। কোনো ডাক্তার ছিলো না।
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ এ কথা জানান।

তিনি জানান, হাসপাতালটির মাদকদ্রব্য অধিদফতরের কোনো লাইসেন্স নেই। তাদের কোনো ডাক্তার নেই। আসামিদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, যারা আমাদের এই সিনিয়র এএসপিকে ওই কক্ষে তুলে নিয়ে গেছেন, তারা কেউ ডাক্তার না। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন ওয়ার্ডবয়। একজন কো-অর্ডিনেটর; যিনি তিতুমীর কলেজ থেকে বিএ পাস করেছেন। তারা যেভাবে এএসপিকে টর্চার করেছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে এটি বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড।

আনিসের পরিবারের অভিযোগ ৩১তম বিসিএস পুলিশের এই কর্মকর্তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। ওই হাসপাতালটি ভর্তি করার কিছু সময় পরই তাকে মারধর করা হয় এবং এতে তিনি মারা যান। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তা ওই রোগীকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।

আনিসুল করিম সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে বরিশাল মহানগর পুলিশে (বিএমপি) কর্মরত ছিলেন। বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের বাবা। আনিস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল বলেন, আনিস কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার দুপুরে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে যখন ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী দোতলায় নেন। কিছুক্ষণ পর আনিসুল অজ্ঞান হওয়ার খবর পান। সেখান থেকে তাকে দ্রুত জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিউটিটে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, পরে আদাবর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায় দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়, সেখানে হাসপাতালের ৬ কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরও দুজন কর্মচারী পা চেপে ধরেন। তার মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে আঘাত করে। এসময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ পাশে দাঁড়ানো ছিল। পরে একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পিছমোড়া বাঁধা হয়। কয়েক মিনিট পর আনিস জ্ঞান হারান। কর্মচারীদের একজন আনিসকে মুখে পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে। কিছু সময় পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। কক্ষের দরজা লাগিয়ে আনিসের বুকে পাম্প করেন ওই নারী।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park