1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
April 21, 2025, 6:12 am

মাটির নিচের বদলে উপরের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১, ২০২০
  • 306 বার পঠিত
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমিয়ে মাটির উপরের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষকে সুপেয় পানি দেওয়া। কিন্তু আমাদের ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সেচের পানি বা ব্যবহারের পানির জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে আমরা যেন ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহার করতে পারি, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর গ্রিনরোডে নবনির্মিত পানি ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মুখে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ম্যুরাল’ এবং বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় ‘পর্যটন ভবন’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে যেন পানির সমস্যা না হয়, সেজন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি আইন করার কথাও অনুষ্ঠানে বলেন তিনি।

জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন জলাধার সৃষ্টি এবং বিদ্যমান জলাধারগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যে পানির জন্য এক সময় হাহাকার ছিল, সেই হাহাকারটা যেন বন্ধ হয়। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে যত খাল, বিল, হাওড়, পুকুর, নদী যা আছে সবগুলোতে যাতে নাব্যতা থাকে- সেগুলো খনন করে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাতে দুটি কাজ হবে। একটা হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র রক্ষা হবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে, আবার মৎস্য উৎপাদন বাড়বে। মানুষের চাহিদাটাও আমরা পূরণ করতে পারব। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়ে সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

একই সঙ্গে গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা সব সময় বিশ্বাস করি যে গবেষণা ছাড়া কোনো কাজেই উৎকর্ষতা সম্ভব না। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন দেখেছিলাম আমাদের গবেষণায় কোনো বিশেষ বরাদ্দই রাখা হত না, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ ছিল না এবং কোনো রকম প্রণোদনা দেওয়া হত না।’ সেই অবস্থা থেকে এখন দেশের প্রতিটি নদীতে ড্রেজিং করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার কথাও প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এরপর থেকে দেশে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল জারি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনা শাসন জারি হয়। আর অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হয়ে যায়, তারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে যত বেশি দৃষ্টি দেয়, দেশের মানুষের উন্নয়নের দিকে তত দৃষ্টি দেয় না। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা যে ফসল লাগিয়ে গিয়েছিলেন, যে গাছ লাগিয়ে গিয়েছিলেন, সেই ফসলই তারা (হত্যাকারীরা) ভোগ করেছে। কিন্তু এরপর বাংলাদেশ এগোতে পারেনি। বাংলাদেশের অনেক সমস্যা ছিল, সেগুলো কখনো সমাধান হয়নি।”

প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান পরিবহন চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থাপনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। বিমানের নিরাপত্তা এবং সেবা বৃদ্ধিতে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী যথাযথভাবে আইনগুলো প্রণয়ন করে সেই আইনও আমরা পাশ করে দিয়েছি যাতে আমাদের বিমান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারি। আর অন্য দেশ থেকেও বিমান আসতে পারে। সেদিকেও আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের এয়ারলাইন্সকে কারণ আজকে দেখলাম, আমেরিকার সঙ্গে একটা চুক্তি হয়েছে, যেখানে আমাদের বিমান যেতে পারবে। বাংলাদেশ বিমানের আধুনিকায়নে তিনি আমেরিকার বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এ পর্যন্ত অত্যাধুনিক ১৩টি বিমান আমাদের বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বোয়িং বিমানগুলো কিনি তখন থেকেই এটা একটা প্রচেষ্টা ছিল যাতে আমেরিকায় আমাদের বিমান নিতে পারি। কারণ সেখানে আমাদের অনেক বাঙালি বসবাস করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে বাঙালিরা থাকে (বসবাস করে) সেখানে ঢাকা থেকে সরাসরি যেন আমাদের বিমান পাঠাতে পারি। ঢাকা থেকে টরেন্টো, নিউইয়র্ক ও টোকিওসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতে আমরা যেতে পারি সেজন্য কিছু বিমানও আমরা ক্রয় করে ফেলেছি। কাজেই সকলের সাথে একটা সমঝোতা করে এই শিল্পটাকে আমাদের আরো উন্নত করতে হবে এবং এই যোগাযোগটাকেও বাড়াতে হবে সেজন্যই আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ৩০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিমান পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এখন থেকে এই চুক্তি দুটি দেশের মধ্যে বিমান চালনা পুনরায় শুরু করার প্রাথমিক ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে। চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ ও আমেরিকা উভয়ই কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার স্ব স্ব সরকারের পক্ষে ঢাকায় এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর পানি ভবন মিলনায়তন প্রান্ত থেকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park