মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ রোববার।
রাজধানী নেপিদোসহ সাতটি রাজ্য ও সাতটি অঞ্চলে একযোগে ভোট চলছে।
দেশটিতে পূর্ণাঙ্গ সেনা শাসনের অবসানের পর এটি দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন।
মিয়ানমার টাইমস জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৬টার সময় ভোটকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের।
বিবিসি ও সিএনএন জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে– অং সান সু চির ‘জনপ্রিয়তা’ বিবেচনায় তার দল এনএলডি আবারও ক্ষমতায় আসবে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী সু চিকে জাতির মাতা হিসেবে বিবেচনা করে। গত বছর হেগের আদালতে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’র অভিযোগ
প্রশ্নে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই গাওয়ার পর দেশের ভেতরে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
তবে জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ক্রমাগত বাড়ছে অনীহা। গভীর হচ্ছে ক্ষোভ। নিপীড়িত রোহিঙ্গাসহ প্রায় ২৬ লাখ সংখ্যালঘুকে ভোটাধিকারবঞ্চিত করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন।
নোবেলজয়ী অং সান সু চি ও তার দল এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করে। ৫০ বছর ধরে সামরিক শাসনে থাকার পর মিয়ানমার পায় প্রথম বেসামরিক সরকার।