ক্যান্ডির পাল্লেকেলের সবুজ উইকেটে ব্যাটিংয়ের শুরুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। শ্রীলংকান বোলাররা নানাভাবে বিভ্রান্ত করতে সচেষ্ট বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। মুমিনুল হক শুরুতে ব্যাটিং নেওয়ার সময় বলেছিলেন উইকেটটা আর্দ্র। চতুর্থ ইনিংসে সহায়তা পেতে পারেন স্পিনাররা। সেকারণেই ব্যাটিং নিয়েছেন।
ব্যাট করতে নেমে সুরঙ্গা লাকমলের প্রথম ওভারেই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান তামিম ইকবাল। ওভারের তৃতীয় ও পঞ্চম বলে অনসাইড দিয়েই বাউন্ডারি দুটি মারেন তিনি। কিন্তু বিশ্ব ফার্নান্দোর করার পরের ওভারে এর উল্টোটাই করেন সাইফ।
আরও পড়ুন:
সঙ্গী সাইফকে হারালেও তামিম পরের ওভারে আবার হাঁকান বাউন্ডারি। এমনকি বিশ্বর ওভারেও তাকে খেলতে দেখা যায় সাবলীলভাবে।
এই ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন তামিম। মুশফিকুর রহিমের করা ৪ হাজার ৫৩৭ রান টপকে এই রেকর্ড গড়লেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থেকে সাজঘরে ফেরেন তামিম। তিনি ১০১ বলে ৯০ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর এক্সটা বাউন্স বলে স্লিপে থিরামান্নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। নার্ভাস নব্বইয়ে গিয়ে ব্যর্থ হলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ইনিংসের প্রথম ওভারে সুরাঙ্গা লাকমালের বলে মিডউইকেটে দৃষ্টিনন্দন শটে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তামিম, এক বল ডট দিয়ে আবারো চার। এবার স্কয়ার লেগে। এভাবেই আগ্রাসী শুরু করে লঙ্কান বোলারদের মনোবলে আঘাত করেন। দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ আউট হলেও তামিম ক্ষান্ত হননি; তিনি তার খেলা চালিয়ে যান সহজাত ভঙ্গিমায়।
নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে গড়ে তোলেন দারুণ জুটি। শান্তও সঙ্গ দেন দক্ষ ব্যাটসম্যানের মতোই। তামিম ক্যারিয়ারের হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ৫২ বলে। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে; কিন্ত পারলেন না। তামিম সর্বশেষ শতক হাঁকিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। তার ১০১ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫টি চারের মারে।