স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রাখার অভিযোগে সোমবার (১ মার্চ) স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহতের বড় ভাই।
নিহত হাসনা (২৭) উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।
বাদি মিনাজ উদ্দিন মামলায় উল্লেখ করেন, ছোট বোন হাসনাকে ৮ বছর আগে বিয়ে দেন মানিকগঞ্জ সদর থানার চর কৃষ্ণপুর গ্রামের মো: কাইমুদ্দিনের ছেলে মোশাররফ হোসেনের (৩৫) কাছে। মোশাররফ একটি ইট ভাটার শ্রমিক। মাহিয়া নামের ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। বিবাহের পর থেকেই স্বামী মোশাররফ যৌতুকের দাবি করে হাসনাকে মারপিট করে। অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে হাছনা মেয়েকে নিয়ে প্রায় ৩ বছর আগে স্বামীর বাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে চলে আসে এবং আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোশাররফ দুই বার জেলে গিয়ে জামিনে এসে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
তথাপি, মেয়ে অসুস্থ হওয়ায় হাসিনা তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে স্বামী মোশাররফকে ফোন করে চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা চায়।গত শুক্রবার বিকেলে মোশাররফ টাকা দেয়ার জন্য রাজেন্দ্রপুর খান ইট ভাটায় ডেকে নেয় হাসিনাকে। কিন্তু এরপর থেকেই হাসিনা নিখোঁজ হয়। মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়। গত রবিবার বিকেলের দিকে চারাভাঙ্গা এলাকায় একটি ভুট্টা ক্ষেতের মাঝখানে তার হাসিনার অর্ধগলিত পঁচা লাশ পাওয়া যায়।
থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম জানান, হাসিনার স্বামী মোশাররফের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে এবং আসামি পলাতক রয়েছে।