মোশাররফ হোসেন: শোকের মাস আগস্ট। ১৫ আগস্ট ভয়াবহ এক দিন। এ দিন মধ্যরাতে ঢাকার ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়িতে শতাব্দীর মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতিরজনক, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব, মুক্তিযোদ্ধাও ক্যাপ্টেন, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা ও লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ১১ বছরের শিশু শেখ রাসেল সহ সপরিবারে দেশের বিপথগামী ও উচচাভিলাসী কর্ণেল ফারুক , মেজর শাহরিয়ার রশিদ, মেজর শরীফুল হাসান ডালিম, নুর চৌধুরীসহ সেনা সদস্যরা হত্যা করেন।
একাত্তরের যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেশীয় চররা যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ট্যাংকসহ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমন করে। বাড়ির দোতলায় গিয়েছিল ঘাতকদল। বঙ্গবন্ধুকে সিড়ির সামনে গুলি করার পর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেও রক্ষা পাননি নারী ও শিশু। পরিকল্পিত ও গভীর নীল নকশা বাস্তবায়নে তারা কৃষক নেতা ও মন্ত্রি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, মুক্তিযোদ্ধা ও যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনিসহ অন্যান্যদের হত্যা করে।
বাংলাদেশের জনগণ কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়ে। জোরালো না হলেও চট্টগ্রামের এস এম ইউসুফ, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে তরুণ নেতৃত্ব টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকী তার অনুসারীদের নিয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্ত সারাদেশে নেতৃত্বের অভাবে বিশাল আন্দোলন হয়নি। যদিও আওয়ামীলীগ নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল, মনসুর আলী, কামরুজ্জামানসহ বহু নেতাকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনীর লোকজন।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মরদেহ বিকেলে গোপাল গঞ্জের টুঙিপাড়ার নিজ বাড়িতে এবং ফজিলাতুন নেসা মুজিব, শেখ কামাল, জামাল, রাসেল আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ ফজলুল হক মনি, সুলতানা কামাল, রোজী ,আরজুসহ সবাইকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন।
আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।।
দূরবীণ সম্পাদক ও প্রকাশক মোশাররফ হোসেনসহ সাংবাদিক বৃন্দ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও শেখ ফজলুল হক মনির পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।
অপরদিকে পদ্মা সেতু তৈরির পর টুংগিপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো সহজ হয়েছে। জনগণের যাতায়াতে সারাবছর মানুষের ঢল নামে। এটাই এখন বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুর খুনীরা টুংগিপাড়ার অনগ্রসর জায়গাতে দাফন করে ভেবেছিল তাকে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে। তা হয়নি।