যশোর উপশহর এলাকার শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফিরোজ উজ জামানের বিরুদ্ধে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর সত্যতা মিলেছে। এর বাইরে তিনি বিভিন্নখাত থেকে আরো লাখ লাখ টাকা তছরূপ করেছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া হাউজিংয়ের জমিতে ইচ্ছেমতো দ্বিতল মার্কেট করে ভাড়া দিয়েছেন। প্রথম পক্ষে জেলা প্রশাসককে বাদ দিয়ে নিজে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। অবসরে যাওয়ার পর বিদ্যালয়ের একাউন্ট থেকে দুই দফায় তিন লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া ৬৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক প্রধান শিক্ষক ফিরোজ উজ জামান সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জায়গায় দ্বিতল মার্কেট নির্মাণ করেন।
করোনায় স্কুল বন্ধের সুযোগে তিনি এই কাজ করেন। যেখানে ১০ টি দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, যা বিধিবহির্ভুত। উল্লেখিত ১০ টি দোকান জেলা প্রশাসকের পক্ষে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে ভাড়া দিয়েছেন। অথচ জেলা প্রশাসক এসব জানেন না। ফিরোজ উজ জামান জামানত হিসেবে নীচতলার পাঁচটি দোকান থেকে তিন লাখ করে ১৫ লাখ ও দ্বিতীয়তলার চারটি দোকান থেকে দুই লাখ করে আট লাখ এবং একটি দোকান থেকে এক লাখ টাকা গ্রহণ করেন। একটি দোকান তার ছেলে মাওলানা ইব্রাহীমের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন। জামানতের টাকা তিনি জনতা ব্যাংক উপশহর শাখায় ‘প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শিক্ষা’ শিরোনামে একাউন্ট খুলে জমা রাখেন। যার হিসাব নম্বর ০৮০৭৩৩০০১৪০৭।
এরপর এককভাবে তিনি ওই একাউন্ট থেকে ইচ্ছে খুশি টাকা উত্তোলন করে খরচ করেন। ফিরোজ উজ জামান স্কুল পরিচালনা কমিটিকে কিছুই না জানিয়ে একক সিদ্ধান্তেনীচতলার দোকান থেকে ১৫০০ ও দ্বিতীয়তলার দোকান থেকে ১০০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করেন। এ যাবৎ এ খাত থেকে কত টাকা আদায় ও খরচ করেছেন তার কোনো হিসাব দিতে পারেননি। এসব করে ক্ষ্যান্ত হননি সাবেক এই প্রধান শিক্ষক। তিনি ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যান। এরপর স্কুলের একাউন্ট থেকে ০২/০২/২০২২ তারিখে দুইলাখ ও ০৮/০২/২২ তারিখে এক লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। যা বিধিবহির্ভূত এবং স্বেচ্ছাচারিতা।
তদন্তপ্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের পূর্বেশিশু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে স্কুল সংস্কার করতে তিন লাখ ৫৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এরমধ্যে ১,০৫,০৯২ টাকা প্রধান শিক্ষকের অনুকূলে ছাড় করে পরিচালনা কমিটি কাজ করার অনুমতি দেয়। অথচ কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক অবশিষ্ট ২,৫৩,৯০৮ টাকা খরচ করেছেন বলে পরিচালনা কমিটির সভায় জানান। তখন সঠিকভাবে কাজ হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পাঁচ সদস্যের তদন্তকমিটি করা হয়। ওই কমিটিকে কোনো সহযোগিতা না করায় তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেননি তারা।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া ৬৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক প্রধান শিক্ষক ফিরোজ উজ জামান সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জায়গায় দ্বিতল মার্কেট নির্মাণ করেন। করোনায় স্কুল বন্ধের সুযোগে তিনি এই কাজ করেন। যেখানে ১০ টি দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, যা বিধিবহির্ভুত।
উল্লেখিত ১০ টি দোকান জেলা প্রশাসকের পক্ষে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে ভাড়া দিয়েছেন। অথচ জেলা প্রশাসক কিছুই জানেন না।ফিরোজ উজ জামান জামানত হিসেবে নীচতলার পাঁচটি দোকান থেকে তিন লাখ করে ১৫ লাখ ও দ্বিতীয়তলার চারটি দোকান থেকে দুই লাখ করে আট লাখ এবং একটি দোকান থেকে এক লাখ টাকা গ্রহণ করেন। একটি দোকান তার ছেলে মাওলানা ইব্রাহীমের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন। জামানতের টাকা তিনি জনতা ব্যাংক উপশহর শাখায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শিক্ষা শিরোনামে একাউন্ট খুলে জমা রাখেন। যার হিসাব নম্বর ০৮০৭৩৩০০১৪০৭। এরপর এককভাবে তিনি ওই একাউন্ট থেকে ইচ্ছেমতো টাকা উত্তোলন করে খরচ করেন।
ফিরোজ উজ জামান স্কুল পরিচালনা কমিটিকে কিছুই না জানিয়ে একক সিদ্ধান্তে নীচতলার দোকান থেকে ১৫০০ ও দ্বিতীয়তলার দোকান থেকে ১০০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করেন।
তবে, এ যাবৎ এ খাত থেকে কত টাকা আদায় ও খরচ করেছেন তার কোনো হিসাব দিতে পারেননি। এসব করে ক্ষ্যান্ত হননি সাবেক এই প্রধান শিক্ষক। তিনি ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যান।
২০১৯ সালের পূর্বে শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে স্কুল সংস্কার করতে তিন লাখ ৫৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এরমধ্যে এক লাখ পাঁচ
হাজার ৯২ টাকা প্রধান শিক্ষকের অনুকূলে ছাড় করে পরিচালনা কমিটি কাজ করার অনুমতি দেয়। তদন্তপ্রতিবেদনে সাবেক প্রধান শিক্ষক ফিরোজ উজ জামানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।