1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
September 12, 2024, 6:05 am
সংবাদ শিরোনাম :

যাবজ্জীবন সাজা ৩০ বছর

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১, ২০২০
  • 424 বার পঠিত

যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। তবে কোন মামলায় আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার এখতিয়ার দেশের আদালত বা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে। আর সেই এখতিয়ার প্রয়োগের ফলে কোন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত তাকে কারাগারেই বাকি জীবন কাটাতে হবে। অর্থাৎ আমৃত্যু কারাবাস। তিনি কোন ধরনের রেয়াত সুবিধা পাবেন না মর্মে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ের ফলে যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ নিয়ে গত তিন বছর ধরে চলে আসা বিভ্রান্তির অবসান হলো বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন এ রায় যুগান্তকারী। এই রায়ের মধ্য দিয়ে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো।

সাভারে জামান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ২০০৩ সালে নিম্ন আদালত আসামি আতাউর মৃধা ও আনোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট ঐ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড। স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে থাকতে হবে। আপিলের ঐ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ পিটিশন করেন আতাউর ও আনোয়ার। ঐ রিভিউ পিটিশনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রাখা হয়।

রায়ে যা বলা হয়েছে:

সকালে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরুর পর প্রধান বিচারপতি রিভিউ পিটিশনের উপর রায় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতের ভিত্তিতে এ রায় দেয়া হল।

রায়ে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে হচ্ছে দণ্ডিত ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাবাস। তবে দণ্ডবিধির ধারা ৪৫ (জীবন) ও ৫৩ (দণ্ডসমূহ) যদি একই আইনের ৫৫ (যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হ্রাস) ও ৫৭ (দণ্ডের মেয়াদসমূহের ভগ্নাংশ) ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৩৫(ক) এর সঙ্গে একত্রে মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে বোঝা যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে হচ্ছে ৩০ বছর।

এছাড়া আদালত, ট্রাইব্যুনাল অথবা ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে গঠিত ট্রাইব্যুনাল যখন কোনো আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়, তখন দণ্ডিত ব্যক্তি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫(ক) ধারার সুবিধা (রেয়াত) পাবেন না।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park