আফগানিস্তানের মানবিক সংকট ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তালেবানের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন তারা। কাবুল দখলের পর এই প্রথম তালেবানের সঙ্গে এক টেবিলে বৈঠকে বসেন পাকিস্তানসহ চার দেশের প্রতিনিধিরা। এসময় তারা আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সফররত তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। এসময়, আফগানিস্তানের চলমান অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট মোকাবিলা এবং দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তালেবানকে সহায়তার আশ্বাস দেন চার দেশের প্রতিনিধিরা।
এর আগে ভারতের পর পাকিস্তান প্রতিবেশী রাষ্ট্র আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া ঊর্ধ্বতন কূটনৈতিক নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করে পাকিস্তান।
৩ দেশের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের শাহ মাহমুদ কোরেসি জানিয়েছেন আফগানিস্তান যে কোন মূহুর্তে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পরতে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের যে অর্থ আটকে দেয়া হয়েছে তা দ্রুত ছেড়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ করেছেন।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, এভাবে চলতে থাকলে তালেবান সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনার কঠিন হয়ে পরবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা জোরদার করা আহবান জানিয়েছেন তিনি।
কোরেসি বলেন, আফগানিস্তানে আর্থিক কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করলে এবং আফগান অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা ও স্থায়িত্বের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা সব সময় থাকবে। আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আসলে পশ্চিমা দেশগুলিও উপকৃত করবে।
তিনি বলেন, আপনি যদি মনে করেন ইউরোপ এখন নিরাপদ। সেই সঙ্গে আর কখনো সন্ত্রাসবাদের কবলে পরবে না তবে অতীতের দিকে তাকান । ইতিহাস ভুলে যাবেন না। কোরেসি বলেন, “আমরা ইতিহাস থেকে শিখেছি এবং আমরা অতীতে করা ভুলগুলির পুনরাবৃত্তি করতে চাই না।”
এদিকে জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে যে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যেখানে দেশটির অর্ধেকেরও বেশি অংশ “তীব্র” খাদ্য ঘাটতি কবলে ভুগছে।