লাইফস্টাইল ডেস্ক: খাবার তাজা রাখার জন্য আমরা সাধারণত ফ্রিজে সংরক্ষণ করি। ফ্রিজের ভেতরের নিম্ন তাপমাত্রা খাবার নষ্ট হওয়া রোধ করে এবং বেশিদিন ভালো রাখে। অনেক ফলও আমরা ফ্রিজে রেখে খাই। কিন্তু কিছু ফল ফ্রিজে রাখা উচিত নয় কারণ এর ফলে সেসব ফলের স্বাদ, গঠন এবং পুষ্টির মানে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যদিও হিমায়ন অনেক খাবারের জন্য উপকারী তবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে কোন ফলগুলো ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. কলা
কলা কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। ফ্রিজে রাখা হলে কলার খোসা কালো হতে শুরু করে, যা অনেকে বিশেষ করে শিশুরা খেতে নাও চাই পারে। আবার ফ্রিজে রাখা কলা দ্রুত পাকে না। তাই সতেজতা এবং স্বাদের জন্য এই ফল ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২. তরমুজ
তরমুজ তাড়াতাড়ি নষ্ট হওয়া ঠেকাতে অনেকেই ফ্রিজে রাখার ভুল করে থাকেন। এটি করলে এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কমে যায় এবং এর পুষ্টিগুণও কমে যায়। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা ফ্রিজে তরমুজ সংরক্ষণ না করার পরামর্শ দেন।
৩. পেঁপে
রেফ্রিজারেটরে পেঁপে সংরক্ষণ করলে এর স্বাদ এবং গঠন পরিবর্তন হতে পারে। এটি ঘটে কারণ রেফ্রিজারেটরের নিম্ন তাপমাত্রা পেঁপে পাকার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। তাই সম্পূর্ণ পাকা না হওয়া পর্যন্ত পেঁপে ফ্রিজে রাখা এড়িয়ে চলুন।
৪. লিচু
লিচুর মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে লিচু কিনে সেগুলো সতেজ রাখতে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন অনেকেই। এটি শুধুমাত্র খোসার সতেজতা বজায় রাখে, তবে লিচু ভেতর থেকে নষ্ট হতে পারে। তাই লিচু ফ্রিজে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো এগুলিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তাজা রাখতে পানিতে সংরক্ষণ করা।
৫. আনারস
ফ্রিজে আনারস সংরক্ষণ করলে এর গঠন এবং স্বাদের অবনতি হতে পারে। তাই ফ্রিজে না রাখাই ভালো। রেফ্রিজারেশনের ফলে ফলটি খুব নরম হয়ে যায়, যার ফলে এর প্রাকৃতিক স্বাদ পরিবর্তন হয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনারস সংরক্ষণ করলে তা সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং এর বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন প্রতিরোধ করে। তবে আনারস পুরোপুরি পেকে গেলে তা যাতে বেশি নরম না হয় তার জন্য কয়েকদিন ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
৬. আম
ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করার ভুল করবেন না, কারণ ঠান্ডা তাপমাত্রা এই ফল পাকানোর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে এবং স্বাদ এবং গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে। আমের সম্পূর্ণ স্বাদ এবং রস উপভোগ করার জন্য ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা ভালো।
৭. কমলা
ফ্রিজে রাখলে কমলা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং রসালো ভাব হারাতে পারে। ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলে তা কমলার স্বাদ এবং সতেজতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও রেফ্রিজারেশন কমলার স্বাদ হ্রাস করতে পারে, যা খেতে খুব একটা স্বাদ লাগে না।