কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকার সুযোগে মাদারীপুরের রাজৈরে মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়াকে কেন্দ্র করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন।
শুধু হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় নয়, উপজেলার মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক মিলে মোট ২৯টি বিদ্যালয়ের চিত্র একই। বিদ্যালয় ভেদে তিনশ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন। বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র আকাশ জানায়, আমাদের শিক্ষকরা তিনশ থেকে ছয়শ টাকা করে দাবি করছেন। টাকা না দিলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়া হচ্ছে না। আব্দুল হাই নামে এক অভিভাবক জানান, আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে তিনশ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
টেকেরহাট পপুলার হাইস্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্র শেখ আমানুল্লাহ এবং আবদুল্লাহ শেখের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে পাঁচশ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। মহামনব গনেশপাল উচ্চ বিদ্যালয় পাঁচশ টাকা, হাসানকান্দি ইউনাইটেড উচ্চবিদ্যালয় এক হাজার একশ পঁয়ষট্টি টাকা, আলম দস্তার আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এক হাজার একশ টাকা, রাজৈর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এক হাজার তিনশ পঞ্চাশ টাকা, হরিদাসদী মহেন্দ্রদী উচ্চবিদ্যালয় এক হাজার একশ টাকা,পপুলার হাইস্কুল এন্ড কলেজ এক হাজার পঞ্চাশ টাকা, টেকেরহাট শহীদ সরদার শাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ বারোশ টাকা আদায় করেছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, সব ছাত্রের কাছ থেকে ওই নিদিষ্ট হারে টাকা আদায় করা হয়নি। কেউ কম দিলে তাকে ফিরিয়ে দেইনি।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসউজ্জামান জানান, কোনো প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র দাস জানান, টাকা আদায় করা বা না করার কোনো নির্দেশনা নেই।