মোশাররফ হোসেন: আমার ভাগ্নে রাশেদ আনোয়ার ও ফারজানা সুলতানার যুগল পথচলা শুরু হয়েছে গত ৩১ডিসেম্বর ২০২১। পরদিন ০১ জানুয়ারি ২০২২ বৌভাত অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে আমাদের পরিবার। ইংরেজি বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরন যখন বিশ্বজুড়ে তখন আমাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে সবাই আনন্দ উৎসবে যোগ দেন।
আমার ছোট বোন সেলিনা আকতার শিখা ও সাবেক গ্লাসকো ইসমিতনাইল ঔষধ কোম্পানি করমকরতা আফতাব উদ্দিন আহমেদ এর কনিষ্ঠ পুত্র রাশেদ আনোয়ার।
সাবেক সাসথো বিষয়ক কর্মকর্তা রাজ্জাক সিদ্দিক ও শিক্ষক সুরাইয়া সিদ্দিক এর কনিষ্ঠ কন্যা ফারজানা সুলতানা এমবিএ শেষে ঢাকায়
টেরাসপারেনসি ইনটারন্যাশনাল বাংলাদেশের কর্ম কর্তা।
রাশেদ আনোয়ার এর বড়ভাই শাহেদ আনোয়ার অষ্ট্রেলিয়া সিডনিতে টেলিকমিউনিকেশন এ সফটওয়্যার ইনজিযার হিসেবে কর্মরত। করোনাকে জয করে ঢাকার পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ওরা দুভাই চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠে। শাহেদ আনোয়ার ইসপাহানী পাবলিক ইস্কুল ও কলেজ থেকে পাশ করে ঢাকার আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে গ্রামীন ফোন হেড অফিসে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে সিডনি গিয়েছিল।
রাশেদ আনোয়ার চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, সিটি কলেজ থেকে পাশ করে আইআইইউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষে ঢাকায় গুলশানের মেরিটাইম ফুড ও কেমিক্যাল কোম্পানি যোগ দেয়।
মজার ব্যাপার হলো এ বিয়ের কথাবার্তার সূচনা হয় জার্মানিতে। মা ও বাবা সহ রাশেদ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করে। ফারজানার পরিবার ঢাকার বাডডায় নিজেদের বাড়িতে বসবাস করে।
বিয়েতে আমাদের পরিবারের সকলে থাকলেও টরনটোয় থেকে করোনা ও পারিবারিক সমস্যার জন্য আমার পক্ষে যাওয়া হয়নি। তবে দোয়া করি সকলের জন্য। রাশেদ আনোয়ার ও ফারজানা সুলতানার যুগল পথচলা যেন চলে অবিরাম। সকল শুভানুধ্যায়ীদের তাদের জন্য দোয়া কামনা করছি।