আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতে নতুন ‘লাভ জিহাদ আইনে’ প্রথম এক মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। এক হিন্দু নারীকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে গ্রেফতার যুবকের বিরুদ্ধে। মুসলমানরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করছে বলে ভারতের কট্টরপন্থি বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে। বিয়ের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার এ প্রক্রিয়াকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অ্যাখ্যা দিচ্ছে তারা।
তাদের চাপেই উত্তর প্রদেশে নতুন এ ধর্মান্তররোধী আইন হয়েছে। সমালোচকরা এটিকে ‘ইসলামোফোবিক আইন’ নামে অভিহিত করেছেন।
চলতি বছরের নভেম্বরে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তর প্রদেশে ‘জোরপূর্বক’ অথবা ‘জালিয়াতিপূর্ণ’ ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে আইন পাস হয়। উত্তর প্রদেশের বেরিলি জেলার পুলিশ নতুন আইনে এক মুসলিম যুবককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জামিন অযোগ্য এ আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে যুবকটির সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
উত্তর প্রদেশ ছাড়াও ভারতের আরও অন্তত চারটি রাজ্য ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী আইন পাসের চেষ্টা চালাচ্ছে। যুবকের বিরুদ্ধে যে নারীকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টার অভিযোগ, ওই নারীর বাবা বলেছেন, যুবকটি তার মেয়েকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য ‘চাপ দিচ্ছিল’ ও কথা না শুনলে ক্ষতি করারও হুমকি দিচ্ছিল; তাই বাধ্য হয়েই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গ্রেফতার মুসলিম যুবকের সঙ্গে একসময় ওই হিন্দু নারীর সম্পর্ক ছিল; যদিও ওই নারী চলতি বছরের শুরুতে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেন। গ্রেফতারের পর মুসলিম ওই যুবককে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়। যুবকটি সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি তার সঙ্গে ওই নারীর এখন কোনো যোগাযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন।
নারীটির পরিবার এক বছর আগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলাও করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ওই নারীর খোঁজ পাওয়ার পর তিনি অপহরণের অভিযোগ উড়িয়ে দেন, তাতে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।