আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ওয়েলসের তুলনায় বল দখলে পিছিয়ে ছিল ইরান। কিন্তু তারা আধিপত্য দেখিয়েছে আক্রমণে। গোলের সুন্দর কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল দলটি। সুযোগ হাতছাড়া করতে করতে একেবারে অন্তিম সময়ে মাহেন্দ্রক্ষণ পেয়ে যায় তারা। দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন রৌজবেহ চেশমি। কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল পায় তারা। ১২ মিনিটের মাথায় ইরানের জাল বরাবর শট নেয় ওয়েলস। কেইফার মোরের সেই শট চলে যায় ইরানের গোলরক্ষক হোসেইনির গ্লাভস বরাবর। হোসেইনি কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই বল তালুবন্দী করেন। ম্যাচের ১৬ মিনিটের সময় ওয়েলসের জালে বল প্রবেশ করায় ইরান। এ সময় ফরোয়ার্ড গলিজাদেহ বল পান স্ট্রাইকার আজমাউনের কাছ থেকে। তখন অফসাইড পজিশনে দাঁড়িয়েছিলেন গলিজাদেহ। এ ফরোয়ার্ড সেখান থেকে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষমও হন। কিন্তু রেফারি সেই গোল বাতিল করে দেন। অথচ পাস না দিয়ে আজমাউন শট করলে গোল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল ইরানের। প্রথমার্ধের বাকি সময়টায় বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে ইরান। সুযোগ নষ্ট হয় ওয়েলসেরও। ফলে কারোরই আর গোল করা হয়ে উঠেনি। গোলের সেই আক্ষেপ নিয়েই বিরতিতে যায় উভয় দল। বিরতি থেকে ফিরেও হতাশার সেই মিছিল অব্যাহত রাখে উভয় দল। যদিও ৫২ মিনিটের সময় দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয় ইরানের। এ সময় পরপর দুটি শট ওয়েলসের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৭৩ মিনিটের ওয়েলসকে বাঁচান গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসে। পরে আরও কয়েকবার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। ম্যাচের ৫ মিনিট বাকি থাকতে লাল কার্ড দেখেন হেনেসে। ডি বক্সের বাইরের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ দলের এক ফুটবলারকে ফাউল করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয়। অতিরিক্ত সময়ে ইরানের হয়ে একটি করে গোল করেন রৌজবেহ চেশমি ও রামিন রেজায়াইন।