মোশাররফ হোসেন: কানাডাতে ছাত্রদের কাজ করার অনুমতি আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হচ্ছে ।এর মধ্যে ভিসা ও শ্রমিক নিয়োগের নামে কাজের অনুমতি সনদ নিয়ে শুরু হয়েছে জমজমাট বাণিজ্য । যা কিনা একদা সৌদি আরবের আকামার মত। বিষয়টি নিয়ে কানাডার অভিবাসন মন্ত্রণালয় ও সরকার চিন্তিত।
কানাডার এলএমআইএ (LMIA)আইনটি খুব শীঘ্রই সংশোধন কিংবা সথগিত করা হতে পারে বলে অভিবাসন আইনজীবীরা ধারণা করছেন। এরকম খবর দিয়েছে টরনটোর অভিবাসন বিষয়ক ইমিগ্রেশন নিউজ, কানাডা পত্রিকা।
কি ছিল সেই খবরটি? শ্রমবাজারে বিভিন্ন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান কানাডার নাগরিকদের মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক না পেলে বিগগাপণ দিয়ে সরকারের অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে শ্রমিক নিয়োগের সুযোগ পান। তারা বিদেশ থেকে শ্রমিক আনতে নিয়োগের প্রস্তাবনার জন্য এল এম আই এ সনদ দেয়। অভিবাসন বাণিজ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও আইনজীবীরা তখন সরকারিভাবে শ্রমিকদের ‘কাজের অনুমতি’ পত্রের জন্য আবেদন করেন। এ পুরো প্রক্রিয়াটিতে সরকারি ফি সহ বিপুল ডলার খরচ হয়।
এটি বৈধভাবে হলেও এখন অভিবাসন বিষয়ক এল এম আই এ সোনার হরিণ হিসেবে হাজির হয়েছে। কেননা এলএম আইএ নিয়ে চলছে জমজমাট বাণিজ্য। কারণ কানাডার কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ করার অভিজ্ঞতা দেখিয়ে পরবর্তীতে সথায়ী আবাসনের সুযোগ আছে।
এক শ্রেণির অসাধু বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান এটি বিক্রয় করছেন ৪০থেকে ৬০হাজার কানাডিয়ান ডলার। এমনকি কালোবাজারে এটি মিলছে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন নিউজ কানাডা।
এরকম খবর বের হবার পর কানাডার অভিবাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে। কানাডার ভ্রমণ ভিসায় যে হারে হাজার হাজার বাঙালি কানাডা এসেছেন তাদের ৬ মাস পর কাজের অনুমতি না থাকলে আশ্রয় আবেদন করে বসবাস করতে হবে। অনুমতি না থাকলে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
এ ভিসার মত যুক্তরাষ্ট্রের পারিবারিক ভিসার মিল আছে। এটির আওতায় অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত, শিক্ষিত বিদেশীরা ভিসা পান। কাজের অনুমতি নিয়ে বসবাস করেন। একসময় সথায়ী বসবাসের অনুমতি লাভ করেন। গ্রীণ
কার্ড ও পেয়ে যান। তবে এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। অনেকেই এসব পাননা। টাকা ও সম্পদ দুটোই হারান।
এজন্য সবকিছুই জেনে তারপর বিদেশে পাড়ি দেয়া উচিত। জীবনের মান উন্নয়নে ঝুঁকিপূর্ণ জীবন বেছে নেয়া ঠিক নয়। সহজ ও বৈধপথে সবই করা যায়।