আইনে বিতর্ক থাকলেও সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন ডা.মুরাদ। এমনটি মনে করেন আইনজীবীরা। তারা বলছেন, দল থেকে বহিষ্কারের কারণে এমপি পদ ছাড়তে হয়েছে এমন নজির রয়েছে। এদিকে মুরাদকাণ্ডে বিব্রত আওয়ামী লীগ।
নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ডা. মুরাদের সংসদ সদস্যপদ কেড়ে নেয়ার দাবি উঠেছে। অনেকে বলছেন- এমপি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি।
মুরাদকান্ডে লজ্জিত আওয়ামী লীগও। দলটির নেতারা বলছেন-তাকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, নারীদের নিয়ে অসম্মানজনক কথা কাম্য নয়। তার কাছ থেকে এ ধরণের বক্তব্য কেউ আশা করেনি। তার কারণে আমরা বিব্রত ও লজ্জিত।
আরও পড়ুন: মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ রাষ্ট্রপতির, প্রজ্ঞাপন জারি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, অন্যায় কাজ করে আওয়ামী লীগ থেকে কেউ ছাড় পাবে না।
দল থেকে বহিষ্কার করলে এমপি পদ যাবে কিনা এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলা নেই আইনে। তারপরও আইনজীবীরা বলছেন- বহিষ্কার হলেই পদ হারাতে হবে তাকে।
অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, উনি আদালত থেকে সাজা পায় নি। তবে কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। দল তার মন্ত্রিত্ব পদ ছিনিয়ে নিয়েছে। তার মানে সবদিক বিবেচনা করে বলা যায়, উনার সংসদ সদস্য থাকা উচিত না।
এদিকে নারীদের নিয়ে মুরাদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অডিও ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।