বর্তমান সরকার গুটিকয়েক মানুষের জন্য উন্নয়ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে বলেও দাবি করেন এ নেতা।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন চুরমার। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে, গণমাধ্যম কর্মীরাও আজ অসহায়।
ফখরুল বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা দলীয়করণ করা হচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যা হচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ধংস করা হয়েছে। কর্তৃবাদী রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। তাই সব প্রতিষ্ঠান ধংস করা হয়েছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায় এই সরকার।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া আজ ন্যূনতম অধিকার, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। তারেক জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়ায় দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
এ সব অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে দেশকে বাঁচাতে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আরেকটি জনগণের ঐক্য তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্র, জনগণের সরকার কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম জিয়াকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। এর চেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন আর কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার বিষয়টি বলে দেয় সরকার কতটা অমানবিক। যেখানে গণতন্ত্র নেই, সেখানে মানবাধিকার নেই। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার মুক্ত করতে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন সৃষ্টি করে এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। তাহলেই মানবাধিকার ও গণতন্ত্র মুক্ত হবে।