কাশ্মীরি পণ্ডিত, শিখ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সাতজন নাগরিক হত্যায় নিরাপত্তা বাহিনী ছয় দিনের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে ৭০০ জনকে আটক করেছে।
আটকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে অথবা তারা সন্দেহভাজন ওভারগ্রাউন্ড কর্মী। তারা শ্রীনগর, বডগাম বা দক্ষিণ কাশ্মীরের অন্যান্য এলাকা থেকে এসেছে।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, (কাশ্মীর) উপত্যকায় হামলার শৃঙ্খল ভাঙার জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তালেবানের ক্ষমতায় ওঠার পর উগ্রবাদ বৃদ্ধির কারণে এই হামলা হতে পারে এবং হত্যাকারীরা ‘সহজ’ বস্তু টার্গেট করছে।
এরইমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ কাশ্মীর উপত্যকায় এই হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিরোধী নেতারা প্রশাসনের আক্রমণ বন্ধ করতে না পারার তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ এনডিটিভিকে বলেন, নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সরকারের কাছে পুনর্নির্ধারণের নীতি দাবি করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপত্যকা পরিদর্শন ও সেখানে বসবাসকারীদের আশ্বাস দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ট্রানজিট ক্যাম্পে বসবাসরত বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার নিয়ে এরইমধ্যে উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে বন্দুকধারীরা সরকারি স্কুল শিক্ষক- সুপুন্দর কৌর (শিখ) ও দীপক চাঁদকে (হিন্দু) গুলিতে হত্যা করে।
মঙ্গলবার শ্রীনগরের ইকবাল পার্কে একটি ফার্মেসির মালিক ৭০ বছর বয়সী মাখন লাল বিনদ্রু তার দোকানের ভেতরে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওইদিন নিহত অন্য দুজন হলেন- বান্দিপোরার ট্যাক্সি চালক মোহাম্মদ শফি ও শ্রীনগরের খাবার বিক্রেতা বিহারের বীরেন্দ্র পাসওয়ান।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের একটি দল কাশ্মীর পরিদর্শন করেন। তার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।