1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
February 6, 2025, 3:48 pm
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ থেকে ফেরার পথে নিজ দেশে হেনস্থার শিকার ভারতীয় শিক্ষার্থী স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক মন্ত্রী উ শৈ সিংয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় অভিবাসীদের হাত-পা বেঁধে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন ধানমন্ডি থেকে ঈশ্বরদী: আওয়ামী স্থাপনায় হামলা ভাঙ্চুর একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল আমাদের যে অভিজ্ঞতা, দেশের যে অভিজ্ঞতা, সেটা হেনস্তার অভিজ্ঞতা: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর প্রধান বিচারপতি নিয়োগ: রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত করতে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ফাঁসির ৯ জনসহ সব আসামি খালাস

স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট ও মানিক মিয়া

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, জুন ১, ২০২১
  • 215 বার পঠিত

পূর্ব বাংলার স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের মাঝে যাঁরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের মধ্যে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একজন। তিনি তার শক্তিশালী রাজনৈতিক কলামে, সভা-সমিতিতে ভাষণদানকালে এবং সহকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে যে বিষয়টির ওপর বারবার ইঙ্গিত দিতেন, তা ছিল পূর্ব বাংলার স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা ও পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন। তিনি জানতেন, স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসন ছাড়া জাতির অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আর অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতাও অর্থহীন। মানিক মিয়া আজীবন একটি স্বপ্ন লালন করতেন। সেই স্বপ্নের মূল প্রতিপাদ্য ছিলো পূর্ব বাংলার মুক্তি।

১৯৬৮ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ এক বক্তৃতায় মানিক মিয়ার সেই লালিত স্বপ্নের আভাস পাওয়া যায়। কোনো মানুষ যেমন জীবনসায়াহ্নে তার উত্তরাধিকারীদের জন্য অন্তিম ইচ্ছার কথা বলে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করেন, মানিক মিয়াও জীবনের একটি সংকটময় মুহূর্তে এসে তার মনের কথাটি গোপন রাখতে পারেননি। ‘ইত্তেফাক’ তখন বন্ধ। তিনি নিজেও শারীরিকভাবে অসুস্থ। আওয়ামী লীগের সেই কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য রাখার পর মাত্র আট মাস তিনি জীবিত ছিলেন। মানিক মিয়ার সেদিনের বক্তব্যে মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির অন্তিম ইচ্ছার মতো পবিত্রতম কথাটিই যেন তার মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসের ধারা নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করতে গেলে তার বক্তব্যে একটি ঐতিহাসিক ইঙ্গিত পাওয়া যাবে নিঃসন্দেহে। তার ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আজ প্রায় আড়াই বছর যাবত্ আমার কলম বন্ধ। আমার আজীবনের সাধনা ‘ইত্তেফাক’ আজ নেই। আমি ভগ্নস্বাস্থ্য। সক্রিয় জীবনে আর ফিরে আসতে পারব কি না, জানি না। তাই আপনাদের এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে দু-চারটি মনের কথা প্রকাশ করার সুযোগ পাব—এজন্যই মূলত আপনাদের আমন্ত্রণ আমি গ্রহণ করেছি। ভগ্নস্বাস্থ্য, নিঃস্ব হলেও মনোবল ও গণমানসের ওপর আস্থা আমি হারাইনি। যদি নিজের জীবনকালে আশা ও বিশ্বাসের সফল রূপায়ণ দেখে যেতে না-ও পারি, তাহলে ‘বিশ্বাস করুন, এই সান্ত্বনা নিয়েই এ দুনিয়া থেকে বিদায় নেব যে, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থের সঙ্গে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। তাদের বিশ্বাস ও আস্থার অমর্যাদাও আমি ঘটাইনি।’

পাকিস্তানের ধর্মীয় রাজনীতির অন্তরালে গণমানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছিল বলে মানিক মিয়ার ক্ষোভ ও আশঙ্কা কম ছিল না। পাকিস্তানের মোহ তার ভেঙে গিয়েছিল। তার ভাষায়, ‘আজ জীবনের এই প্রদোষবেলায় পৌঁছে যখনই অতীতের চির-অস্ত অন্ধকারের দিকে তাকাই, তখনই যেন সেই অতীতের মুকুরে এই একটিমাত্র প্রশ্নই বারবার ভেসে উঠতে দেখি, আমরা কি এজন্যই পাকিস্তান চেয়েছিলাম? নিজের মনে সমকালীন ইতিহাসের আলোকে এ প্রশ্নের জবাব আমি বহুবার খুঁজেছি! আর বারবারই যে জবাব পেয়েছি, নিজের জ্ঞান, বিবেক ও বিশ্বাসমতো তাই আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি। আমার দেখাটা ভুল হতে পারে, কিন্তু ‘আন্তরিকতা’ নিশ্চয়ই উপেক্ষণীয় নয়। আমাদের রাজনীতির এই বিভ্রান্তি নিরসনের সামান্যতম সূত্র হিসেবেও যদি বিবেচিত হয়, তাহলে তা-ই হবে আমার আন্তরিকতার সত্য মূল পাওয়া।’

মানিক মিয়া যখন বলতেন, ‘ইত্তেফাকের ওপর এত বড় খড়্গ চালানোর পরেও আমরা এক মুহূর্তের জন্যও মুষড়ে পড়িনি’, তখন জনগণের শক্তির এই বাস্তব দিকটির কথাই মূলত তিনি উপলব্ধি করেন। জনগণই যে ক্ষমতার মূল উত্স, এ বিশ্বাস আরো বলিষ্ঠরূপ লাভ করে, যখন তিনি প্রগাঢ় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘ইত্তেফাক’ দেশবাসীর মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে যে চেতনার উন্মেষ করেছে, ‘ইত্তেফাক’ বন্ধ করে সেই চেতনা দমিয়ে রাখা যাবে না।’

ষাট ও সত্তরের দশকে গণ-আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের পশ্চাতে কাজ করেছে এই দেশবাসীর জাতীয়তাবোধের চেতনা। কিন্তু চেতনার উন্মেষ পর্যায়ের কাজটি তত সহজ ছিল না। যে অমিত সাহস ও নির্দেশিকা এর জন্য প্রয়োজন, তা কার্যকরভাবে পালন করার সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার মতো লোকের তখন অভাব ছিল প্রচুর। পাকিস্তানে বিরোধী রাজনীতি সর্বদাই একটি স্বদেশপ্রেমের ধারায় প্রবহমান ছিল। বিরোধী রাজনীতির এই বিরাট দায়িত্ব ও জনগণের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে বাস্তব রূপ দেওয়ার একটি অর্থবহ বিকল্প তৈরি করেছিলেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। বিরোধী রাজনীতিকেরা যা পারেননি বা করার সুযোগ পাননি, তা মানিক মিয়া করেছেন। আর মানিক মিয়া যা পারেননি বা করা সম্ভব ছিল না, তা বিরোধী রাজনীতিকেরা করেছেন। বলা বাহুল্য, তখন পাকিস্তানে, বিশেষত পূর্ব বাংলার বিরোধী রাজনীতির অগ্রভাগে ছিলেন সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান। কার্যকর বিরোধী দলও তখন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয়রা যখন কারা-অন্তরিণ হয়েছেন, তখন জনমত তৈরি থেকে শুরু করে তাদের অনেকের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার কাজটি পর্যন্ত মানিক মিয়া করেছেন। আবার মানিক মিয়া যখন জেলে গেছেন কিংবা ‘ইত্তেফাক’ সরকারি রোষে পড়ে বন্ধ হয়েছে, তখন রাজনৈতিক নেতারা ‘জনমত’ গঠন করতে এগিয়ে এসেছেন। তবে সব ক্ষেত্রেই মানিক মিয়া ও ইত্তেফাকের প্রতি জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। ‘ইত্তেফাক’ বন্ধ করাকে স্বভাবতই তারা মনে করতেন তাদের মুখে ছিপি এঁটে দেওয়া।

পূর্ব বাংলার স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি তার নিজের ভূমিকার কথাও কোনো রাজনৈতিক নেতা অস্বীকার করতে পারেননি। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিব তার একটি প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন : ‘স্বাধীনতার সংগ্রামে মানিক ভাইয়ের কাহিনী অনেকেরই অজানা। পক্ষান্তরে আমার ব্যক্তিগত জীবনে মানিক ভাইয়ের প্রভাব যে কত গভীর, তা ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়। ১৯৪৩ সাল থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। সেই পরিচয়ের পর থেকে সারাটা জীবন আমরা দুই ভাই একসঙ্গে জনগণের অধিকার অর্জনের সংগ্রাম করেছি।…একটা বিষয়ে আমরা উভয়েই একমত ছিলাম, তা হলো বাংলার স্বাধীনতা। স্বাধীনতা ভিন্ন বাঙালির মুক্তি নেই—এ বিষয়ে আমাদের মাঝে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ ছিল না। আর ছিল না বলেই নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও দুজন দুই ফ্রন্টে থেকে কাজ করেছি। আমি কাজ করেছি মাঠে-ময়দানে আর মানিক ভাই তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে।’

আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি নির্মাণে মানিক মিয়ার অবদান যে কতখানি ও কত ব্যাপক, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবের বক্তব্য থেকে তা সহজেই অনুমেয়।

মানিক মিয়া যা বলতেন, তা যুক্তিগ্রাহ্য করে খোলাখুলিভাবেই বলতেন। তার অধিকাংশ লেখার বিষয়বস্তুই ছিল এ দেশের জনগণের ন্যায্য দাবিদাওয়া সম্পর্কে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের চেয়েও ছিলেন অনেক বেশি সোচ্চার ও আত্মবিশ্বাসী। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা পেশ করার পর পাকিস্তানিরা ও তাদের এদেশীয় দোসররা প্রচার করতে থাকে যে, ৬ দফার পেছনে জনগণের কোনো সমর্থন নেই। কিন্তু মানিক মিয়া তার ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’-এর মাধ্যম সবাইকে উপলব্ধি করাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে এ অঞ্চলের জনমত কত প্রবল। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের ব্যাপারটি যখন ১৯৬৬ সালে রাজনীতিকদের বৈঠকখানার বাইরে তেমন পরিচিতি লাভ করেনি, তখনো মানিক মিয়া স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ‘জনমত’ তৈরির জন্য তীব্র লেখনী চালিয়েছেন এবং রাজনীতিকদের চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে কথা বলতে সাহসী হয়েছেন।

মানিক মিয়া কোনো দিন কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন না। তবে এ কথা সত্য, তত্কালীন প্রধান বিরোধী দল ‘আওয়ামী লীগ’ তার চিন্তাচেতনা দ্বারা অনেক প্রভাবিত হয়েছে। তেমনিভাবে পূর্ব বাংলার আপামর জনসাধারণ তার লেখনী দ্বারা জাতীয়তাবাদের চেতনায় বিপুলভাবেই উদ্বুদ্ধ হয়েছে। একটি বিরোধী দলের ভূমিকা কোন পরিস্থিতিতে কী হওয়া উচিত, তা মানিক মিয়া আকারে-ইঙ্গিতে তার লেখনীর মাধ্যমে যেমন বোঝাতে চেয়েছেন, তেমনি বিরোধী দলের প্রথম সারির নেতারা অনেক ব্যাপারেই তার সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে মতবিনিময়ের প্রয়োজন হলে বিরোধী নেতারা সরাসরি কখনো ইত্তেফাকে চলে যেতেন। তবে দলের সদস্য না হওয়ার কারণে অনেক সময় অসুবিধাও হতো। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন তথা ৬ দফা দাবি পেশ করার পর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী প্রমাদ গুনতে শুরু করে। যদিও গোড়াতে তা ছিল আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি, কিন্তু শাসকগোষ্ঠী এ দাবির মধ্যে বিচ্ছিন্নতার গন্ধ পায়। ফলে ৬ দফা প্রণেতাদের প্রতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হয়রানি এবং নির্যাতন চলতে থাকে। পাকিস্তানের সামরিক শাসক ও ‘লৌহমানব’ বলে কথিত প্রেসিডেন্ট আইয়ুবের শাসনামলে এ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তেমন কারোরই ছিল না। কিন্তু মানিক মিয়া এই দুঃসময়েও তার সাহসী ভূমিকা থেকে পিছু হটেননি। তিনি তার ‘রাজনৈতিক মঞ্চে’ উল্লেখ করেছেন, ৬ দফা আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ার জন্য যে নির্মম পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে, সেই বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যেও আজ এই বলে সান্ত্বনা লাভ করছি যে, জনগণ ৬ দফা তথা আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে গ্রহণ করেছে, তারা প্রতিপক্ষের ভ্রুকুটিতে ভড়কে যায়নি। আন্দোলনের গতিধারা লক্ষ্য করে ভবিষ্যদ্বাণী করা চলে যে, রক্তদানের বিনিময়ে বাংলা ভাষার আন্দোলন যেভাবে সাফল্যমণ্ডিত হয়েছিল, ইনশাআল্লাহ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেরও সাফল্য সেইভাবে নিশ্চিত হবে। রক্তদান ও নির্যাতন ভোগ কিছুতেই বৃথা যাবে না।’

মানিক মিয়ার এই উদাত্ত আহ্বানে দেশবাসী সাড়া দিয়েছিল। তার ক্ষুরধার লেখনী কালক্রমে সবাইকে ‘স্বাধিকারের’ চেতনায় সমৃদ্ধ করেছিল। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন মূলত এই স্বাধিকার আন্দোলনেরই অনিবার্য রূপ। একজন ‘স্টেটম্যান’ যেমন জাতীয় দুর্দিনে জাতিকে দিশা ও সঠিক পরামর্শ দেন এবং জাতি তা নিঃসংকোচে পালন করে, মানিক মিয়ার কোনো আহ্বান বা উপদেশ জাতি সেভাবেই গ্রহণ করেছে। মানিক মিয়া একজন ‘কলাম’ লেখক হয়েও জাতিকে একজন আদর্শ রাজনৈতিক নেতার মতোই নেতৃত্বদানে সক্ষম হয়েছেন। বস্তুত, মানিক মিয়া ছিলেন পূর্ব বাংলার দাবিদাওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আপসহীন। মানিক মিয়া ও তার লেখনী দ্বারা এই দেশবাসীকে যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও স্বাধীনতা মূলত সেই চেতনারই ফসল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park