পর্ব : ২ : অবাক পৃথিবি অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি..
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৫৮ ও ১৯৬১ দুইপর্বে আমার লেখাপড়ার সময়কালটা ছিল ছাত্রঅধিকার ও স্বায়তত্বশাসন বিষয়ক আন্দোলনে উত্তাল। একদিকে তৎকালিন পাকিস্তানের রাস্ট্রপতি ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের ‘মার্শাল ল ’অন্যদিকে পূর্ব পকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়া নিয়ে ছাত্র সমাজ ছিল প্রতিবাদমুখর । তাতে স্বাভাবিকভাবে ঢাকা হল ও পরবর্তীতে ইকবাল হল ছাত্র সংসদের সমাজকল্যাণ ও নাট্য সম্পাদক হিসেবে আমার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন ছিল সেসময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ।
প্রসঙ্গত: বলা যায় ১৯৬১সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালিন ছাত্রসমাজ লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া, সংস্কৃতি,রাজনীতি সবকিছুর চর্চা করত । ছাত্রশিক্ষক সমপর্ক ছিল খুবই ঘনিষ্ট ।তারা আমাদের অভিভাবকের মত পরামর্শ দিতেন । ছাত্রছাত্রীরা কবি রবীন্দধনাথ,নজরুল ,সুকান্তের গান, কবিতা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে থাকত । নবীনবরন অনুষ্ঠান ছিল ছাত্রলীগ ,ছাত্রইউনিয়ন ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নিয়মিত বিষয় । গান , কবিতা ,নাটক ,গীতিনৃত্য নাট্য পরিবেশন করে এক উদার ও অসাম্পধদায়িক সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করতো ছাত্রসমাজ । আবার ছাত্র অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রশ্নে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছে ।
এরকম একটা পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদ গড়ে তুলেছিলেন ভাষা সৈনিক ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক কামাল লোহানী । তারা নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতেন । অপরদিকে আমরা অন্যান্য হলের মত ইকবাল হল ছাত্রসংসদ থেকে নাটক করতাম । আশকার ইবনে শাইক.আবদুল্লাহ আল মামুন ও জিয়া হায়দার এর পরিচালনায় আমাদের নাটক মণচস্থ হত। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিন চৌধুরি ও সমাজকল্যান ও নাট্য সম্পাদক হিসেবে আমি ১৯৬৪ সালে এসব নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলাম। খালেদ ইউসুফ, মাহবুব জামিল ,নকি মোস্তাফা ও আমি ছিলাম ঘনিষ্ট বন্ধু । বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকাজে আমরা অনেক দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন । চার বন্ধু কে অন্যরা ফোর মাসটিয়ারস বলতো ।
১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে ইকবাল হল ছাত্রসংসদ এর বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা কবি সুকান্তের “অবাক পৃথিবী” গীতিনৃত্য নাট্য আয়োজন করেছিলাম । এটা কুমিল্লার একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পরিবেশন করে । সুকান্তের বিখ্যাত কবিতা ও গান ,“অবাক পৃথিবি , অবাক করলে তুমি .. জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি .. গীতি নাট্য দেখে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল ।সলিল চৌধুরির সুরে এ গানটি তখন আমাদের মুখে মুখে থাকত ।
তবে এ অনুষ্ঠান আয়োজনে আপত্তি ছিল তৎকালিন উপাচার্য্য ড: ওসমান গনির । কিন্তু হল প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক মতিন চৌধুরি ও আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহমেদের সহযোগিতা একাজে আমাকে বেশ উৎসাহিত করেছিল । বিশেষ বরাদ্দে তখন আমাদের দেয়া হয়েছিল ১২০০ টাকা ।কিন্তু এ গীতি নৃত্য নাট্যের বক্তব্যে সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল বলে আমাকে সরকারিভাবে পর্য্যবেক্ষণে রাখে গোয়েন্দা পুলিশ । পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালের ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান ভন্ডুল হয়ে গেলে আমাকে রাজবন্দি হিসেবে জেলে থাকতে হয়েছিল ৩ মাস ।এসময় ইকবার হল ছাত্রসংসদের ভিপি ছিলেন সিলেটের মুয়িদ চৌধুরি ।
খেলাধূলা ও মাসিক পত্রিকা বর্তমান
একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন ও অন্যদিকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড দুটি বিষয় একযোগে করে যাচ্ছিলাম । এরসঙ্গে যুক্ত হলো মাসিক পত্রিকা ‘বর্তমান ’ । খেলায় ইকবাল হলকে শক্তিশালী করার জন্য এথলেট হিসেবে তোফায়েল আহমদেকে নেয়া হয় । যিনি পরবর্তীতে দেশবরন্যে রাজনীতিবিদ, ১৯৬৯ সালের গনঅভ্যুত্থানের নায়ক ,বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য।
১৯৬৩ সালের রোজার ছুটিতে রমনা রেস্তরায় আমাদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল একটি পত্রিকা বের করবো । মাহবুব জামিল ও খালেদ ইউসুফের উদ্যোগে আমরা কাজ শুরু করি । মাহবুব জামিলকে দায়িত্ব দেয়া হয় সম্পাদকের । খালেদ ইউসুফ ও নকি মোস্তাফা ব্যাবস্থাপনার দায়িত্ব নেয় । আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় প্রকাশক হিসেবে । পত্রিকার নাম দেয়া হয় ‘বর্তমান’ । এরকম বড় কাজে আমাদের আর্থিক সামর্থ্য অত্যন্ত সীমিত ছিল । তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞাপনের জন্য গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে । তিনি তখন আলফা ইনসুরেন্স কোম্পানীর প্রধান । আমাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন । কিন্তু পরে আর যাওয়া হয়নি । তিন সংখ্যা বের করার পর অর্থ সংকটে আমরা এ প্রচেষ্টা বাদ দিয়েছিলাম । আসলে ছাত্র থাকাকালীন মক্তমনের চিন্তা সবসময় বাস্তবায়ন করা না গেলেও সৃষ্টির নেশায় আমরা ছিলাম বদ্ধপরিকর । এরকম চ্যালেঞ্জ থাকতে হয় । জীবন গড়ে তুলতে ছাত্রছাত্রীদের সৃষ্টিশীল কাজ করতে হয় ।এতে উদার ও অসাম্পধদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটে ।
একজন সমাজবিজ্ঞানী,গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে আজকের প্রজন্মকে আমার পরামর্শ , দেশগঠনে কাজ করতে হলে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা ,সংস্কৃতি ,শিল্প ,বিজ্ঞান ও সাহিত্যচর্চা অত্যান্ত আবশ্যিক । এটা মানুষকে, মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে ।
ছাত্রবিক্ষোভে ১৯৬৪ সালের সমাবর্তন ভন্ডুল ..জেলে আটক তিনমাস
১৯৬১ সালে মনজুর কাদের কমিশন রিপোর্টের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ঘোষণা করেছিল তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খান । এতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হয়ে যান । ডাকসুসহ সকল ছাত্রসংসদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। অনার্সে তিনবছরের স্থলে প্রতিবছর পরীক্ষা পদ্ধতির প্রচলন করা হয় । এতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল । মিছিল হতো প্রতিদিন ।বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় । সরকারি ছাত্র ফ্রন্ট এনএসএফ বাদে ছাত্রলীগ , ছাত্রইউনিয়নসহ সব ছাত্র সংগঠন এতে অংশ নিচ্ছিল । ঠিক এরকম একটি অবস্থায় ১৯৬৪ সালের ২১ মার্চ“ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন ’৬৪” আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মোনায়েম খান চ্যান্সেলর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার ঘোষণা দেয়া হয় । কার্জন হলের উন্মুক্ত চত্বরে বিশাল প্যান্ডেল করে সমাবর্তনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।
মুলত: ১৯৬২ সালের অনার্স ও এমএ পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা এতে অংশ নেবার কথা । তৎকালীন ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, আবদুর রাজ্জাক , কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ,সগির ,মিজানুর রহমান শেলী , গিয়াস কামাল চৌধুরি , কাজী জাফর ,রাশেদ খান মেনন, হায়দার আকবর রনো, হায়াৎ হোসেনসহ অনেকেই ছিলেন সেসময়ের ছাত্র ।সমাবর্তন গাউন পড়ে ছাত্রছাত্রীরা কার্জন হলের চত্বরে আসন নেবার পর যখন মোনায়েম খান অনুষ্ঠানস্থলে আসেন তখন শুরু হয় বাইরে থেকে ইট মারা । সমাবর্তন প্যান্ডেলের ভেতরে গাউন পড়া, আগে প্রস্তুত থাকা ছাত্র সংগঠনসমুহের একটি দল মনচে উঠে চেয়ার ভাংগা শুরু করেন ।পুলিশ লাঠিচার্জের পর কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে । ফলে সমাবর্তন ভন্ডুল হয়ে যায় ।
আরও পড়ুনঃ
এরপর পুলিশ রাতে ইকবাল হল ঘিরে ফেলে তল্লাশি করা শুরু করে । আমি নীচতলার ১১২ নম্বর কক্ষে থাকতাম । তাই সবার আগে আমাকে আটক করে । একে একে ছাত্রলীগের আসমত আলী সিকদার, শওগাত উল আলম সগির, মোহাম্মদ হানিফসহ আমাকে আটক করে রমনা থানায নিয়ে যায় । পরদিন সেখান থেকে ঢাকা কেন্দধীয় কারাগারে আমাদের স্থানান্তর করা হয় ।বিভিন্ন হল থেকে সমাবর্তন ঘটনার জন্য অভিযোগ এনে ৫৬ জনকে আটক করে । কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সগির , আসমত , হানিফ ও আমাকে একটি কক্ষে স্থানান্তর করে । রাজবন্দি হিসেবে আমরা পত্রিকা পেতাম । খাবার পেতাম । সগির , আসমত , হানিফ ও আমি আমাদের কক্ষে গান ধরতাম ‘কারার ঐ লৌহ কপাট , ভেংগে ফেল ..।’ পরে সম্মিলিতভাবে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমরা এ গানটি গাইতাম । এসময় ছাত্রলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনিকে আটক করা হয়েছিল । তাকে ভিন্ন কক্ষে রাখা হয়েছিল ।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস রিট করে ড: কামাল হোসেন , ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, মির্জা গোলাম হাফিজ শুনানি শেষে অন্য কয়েকজনের পরে আমি ছাড়া পাই তিন মাসের মধ্যে । আর শেখ ফজলুল হক মনি, ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি, রাশেদ খান মেনন , হায়দার আকবর রনো, কাজী জাফর ,বদরুল হকসহ ছাত্রনেতারা ছাড়া পান এক থেকে দু’বছর পর । শেখ মনিসহ ২জনের ডিগ্রি বাতিল করা হয় । ৮ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয় ।
অনার্সে প্রথম: মা দেখে যাননি, এ বেদনা আজও আমাকে কাঁদায় ..
সমাবর্তন ঘটনায় জেল থেকে ছাড়া পাবার ২৩ দিন পর সমাজতত্বে আমার অনার্স পরীক্ষা । সমাজতত্ব বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক নাজমুল করিম ইকবাল হলের প্রবেশ পথে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন । সথে ছিলেন হল প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক মতিন চৌধুরি, আবাসিক শিক্ষক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ ,টিএসসি পরিচালক আমানুজ্জামান খান । আমি রীতিমত অবাক । তারা অভিভাবকের মত আমাকে বললেন , তোমার আর হলে থাকা হবেনা । সামনে পরীক্ষা ,পড়তে হবে । নাজমুল করিম স্যার বললেন , সোসিয়াল হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া ,(এ আর , দেশাই) ও টিবি বটোমোর এর সোসিওলজি বই দুটি নিয়ে নেবে । নিজেরা ভাগাভাগি করে নোট তৈরি করে পড়বে । আমানুজ্জামানের সথে যাও । সে তোমাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছে ।
পরে খালেদ ইউসুফ ,মাহবুব জামিল ,নকি মোস্তফা ও আমি আমানুজ্জামান স্যারের সাথে গেলাম । স্যারের বাসার একটি কক্ষে আমাদের থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে । জেলের বিচিত্র সময় পার করে এমন ব্যাবস্থাপনায় আমি কী যে খুশি হয়েছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা । এটা বিরল ঘটনা ।এর নাম ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ । এটা আজও আমাকে কৃতজ্ঞতায় নুইয়ে দেয় । আসলে সময়ের ভাগ ̈বান মানুষ হিসেবে আমরা শিক্ষকদের মুখ উজ্জল করতে পেরেছিলাম ।
অনার্সে ‘প্রথম স্থান’ অধিকার করেছিলাম । মৌখিক পরীক্ষায় বাইরের শিক্ষক ড: ম্যাকলি সামাজিক অবকাঠামো থেকে কৃষির ব্যাবস্থার প্রভাব বিষয়ে প্রশ্নের জবাব শুনে আমাকে বেশ উচ্চ নম্বর দিয়েছিলেন । এর পর নাজমুল করিম স্যার একটি টেলিগ্রাম হাতে দিয়ে বললেন ,বাড়িতে ঘুরে আস । তোমার যাবার সব ব্যাবস্থা করা আছে ।
তখনও আমি জানতাম না টেলিগ্রামে কী আছে ? খুলে দেখি আমার মা ১০দিন আগে আমাদের ছেড়ে ইহলোক ত্যাগ করেছেন। মনটা ভেঙ্গে গেল বিষাদে । বেদনায় কান্না এসে গেল । মনে হল আমি আসলেই অভাগা । আমার অনার্সের ফলাফল মাকে জানাতে পারলাম না । অবশেষে আমাকে বন্ধু খালেদ ইউসুফ হেলিকপ্টারে যোগে ফরিদপুর পাঠিয়েছিল । সেখান থেকে গাড়িতে মাদারিপুর। তারপর নৌকায় করে রমজানপুরের বাড়িতে পৌছেছিলাম । জীবন চলার বাঁকে যেন নিজেকে খুঁজে পেলাম । আমাকে এবার বেশি করে পড়তে হবে। বড়িতে বসেই শোককে শক্তিতে পরিনত করে মাস্টার্স পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার বৃহৎ পরিসরে পা বাড়িয়েছিলাম ।এরপর আর পিছনে তাকাইনি । আজ মনে হয়, আমি যেন দেশ ও সমাজের জন্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছি (চলবে )।