চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে জনসাধারণের অবাধ চলাচল কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। বিনা প্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হলে তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
তবে পুলিশের এই কঠোর বিধিনিষেধে বেকায়দায় পড়েছে রিকশাচালকরা। জীবিকার প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়ে কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাচ্ছেন না রিকশাচালকরা। আবার যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় চেকপোস্টে রিকশা উল্টে দিচ্ছে পুলিশ। লকডাউন ঘোষণার পর গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক কর্মকর্তা ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘নিয়ম অমান্য করলে রিকশা আটকে রাখা হয়। তবে ঘণ্টা খানেক পর আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।
খোকন মিয়া গত ১৫ বছর ধরে রাজধানীতে রিকশা চালান। করোনার জন্য গত বছর থেকে আগের মতো আয় হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘১৫ বছরে অভিজ্ঞতায় এমন কষ্টে আর কখনো পড়েনি। গাড়ি নিয়ে বের না হলে সংসার চলবে না। গ্রামে সংসার আছে, ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের জন্য টাকা পাঠাতে হয়। সড়কে বের হতে পারি না। তাই এখন গলিতে রিকশা চালায়। যাত্রী কম, তাই রুজি একেবারে কমে গেছে।’
একই কথা বললেন রিকশাচালক আলিম মোরুল। তিনি বলেন, ‘সড়কে বের হলেই গাড়ি উল্টিয়ে দেয়। এ নিয়ে চারদিন হলো আমার গাড়ি উল্টিয়ে রাখছে পুলিশ। এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা আটকে রেখে আবার ছেড়েও দিয়েছে। আগে দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করতে পারতাম। এখন ২০০-৩০০ টাকার বেশি আয় হয় না।’