সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে ৭ ফেব্রুয়ারি একটি গাড়ি উপহার দেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। তবে ওই গাড়ি নিয়ে হিরো আলম গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে হিরো আলম দাবি করেছেন, উপহারের গাড়ি হস্তান্তরের আগে উপহারদাতা গাড়িটির ট্যাক্স বকেয়া থাকা এবং ফিটনেস না থাকার বিষয়টি তাকে জানাননি। হিরো আলম জানান, হবিগঞ্জে গাড়িটি হস্তান্তরের সময় মানুষের ভিড়ের কারণে তিনি কাগজপত্র সেভাবে দেখার সুযোগ পাননি। তবে গাড়িটি তিনি ফেরত দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে যতোই জটিলতা থাকুক, উপহারের গাড়ি আমি ফেরত দিবো না। ফেরত দিলে ওই শিক্ষককে ছোট করা হবে। যেহেতু আমি গাড়িটিকে অ্যাম্বুলেন্স বানানো ঘোষণা দিয়েছি, এখন গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করতে যা অর্থ লাগে আমি খরচ করতে রাজি আছি।” গাড়িটির বকেয়া মওকুফ চেয়ে বিআরটিএতে আবেদন করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “দুই-এক দিনের মধ্যে গাড়িটিকে বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কাজ শুরু করবো। এর মাধ্যমে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।” বিআরটিএর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, হিরো আলমকে দেওয়া উপহারের গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৪১০১। ১,৮০০ সিসি গাড়িটির টেক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ এবং ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয় ১৫ জুলাই ২০১৩ সালে। তবে রোড পারমিটের কোনো তথ্য নেই ওয়েবসাইটে। অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী গাড়িটি বর্তমানে হালসন পর্যন্ত নবায়ন করতে ৪,৩৯,৪২৩ টাকা ফি লাগবে।উপ-নির্বাচনের এক দিন আগে ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোয়াহ মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এম মখলিছুর রহমান। ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হিরো আলম উপহারের গাড়িটি গ্রহণ করে সেটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের ঘোষণা দেন। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান আলোচনা সমালোচনা চলছিল। এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে গাড়ির কাগজপত্রের মেয়াদ না থাকা নিয়ে। যদিও উপহার দানকারী শিক্ষক এম মখলিছুর রহমান এতদিন গাড়িটি অবৈধভাবেই চালিয়ে আসছিলেন। মখলিছুর রহমান জানান, ২০১৮ সালে গাড়িটি তিনি কিনেছিলেন। এই গাড়ির সর্বশেষ ট্যাক্স দেওয়া হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ। একই বছরের ১৫ জুলাই ফিটনেস সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় এই গাড়ির। তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসেই গাড়িটি ক্রয় করেন।