ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন চলছে সেই ঈদের আগে থেকেই। এখন ঈদের ছুটির পর চুটিয়ে অনুশীলন করে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু সবার কৌতূহলি প্রশ্ন, জাতীয় দলের পুরোদস্তুর অনুশীলন শুরু হবে কবে?
এদিকে শ্রীলঙ্কা সফরের কথাবার্তাও একরকম চূড়ান্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ অক্টোবর শুরু বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট। গত কদিন ধরে বারবার শ্রীলঙ্কা সফরের আপডেট আসছে। কিন্তু তাতে নেই জাতীয় দলের অনুশীলন শুরুর দিনক্ষণ। এদিকে ভক্তরা অধীর অপেক্ষায়, কবে আবার দল বেঁধে অনুশীলনে নামবেন টাইগাররা?
বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে, সফরসূচি চূড়ান্ত হলেই অনুশীলন শুরুর দিন ঘোষণা করা হবে। তবে জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরুর দিন মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। আজ (বুধবার) ক্রিকেট অপস, এইচপি, বোর্ড সিইও আর নির্বাচকদের যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় দেশের মাটিতেই প্রাথমিক অনুশীলন শুরু হবে জাতীয় দলের।
বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ঐ যৌথ সভা শেষে জানিয়েছেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ জাতীয় দলের সব বিদেশি কোচ ঢাকায় চলে আসবে। তাদের অধীনেই ১৪ সেপ্টেম্বরের ভেতর শুরু হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কা সফরের প্রস্তুতি। সব মিলে ৭-৮ দিনের মতো অনুশীলন হবে দেশে।’
তবে আকরাম খানের কথায় পরিষ্কার, এটা অনেকটা কন্ডিশনিং ক্যাম্পের মতোই হবে। আসল মানে ক্রিকেট প্র্যাকটিসটা হবে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পর কলম্বোয়। বলে রাখা ভাল, আগামী ২৩ সেপেটম্বর এইচপির ২৪ সদস্যের দল ও জাতীয় দল একসঙ্গে রাজধানী থেকে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর পথে যাত্রা করবে। জাতীয় দলের অনুশীলনে এইচপির ক্রিকেটাররাও সহায়ক ভূমিকা রাখবেন
আকরাম খান আরও জানান যে, ক্রিকেটারদের মোট দুই দফা করোনা টেস্ট দিতে হবে। প্রথমবার দেশে প্র্যাকটিসে নামার আগে। আর পরেরবার ঠিক শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে দিয়ে। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে হয়তো ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। এটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি আকরাম।
তবে অনুশীলন নিয়ে যেভাবে কথা বলেছেন, তা শুনে মনে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা গিয়ে আরেক দফা করোনা টেস্ট দিতে হবে সবার। সে টেস্ট নেগেটিভ আসলে হয়তো আর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার দরকার পড়বে না। এমনিতেই প্র্যাকটিসে নামা যাবে।
।