দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। যেখানে বলা হয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। চলমান কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে দুপুর পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ৪২৯ জন। এছাড়া ৩০৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা।
রবিবার (৪ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের চতুর্থ দিনে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডিএমপির আটটি বিভাগের রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা এলাকায় সরকারি নিয়ম অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ৪২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিএমপি পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাফিক বিভাগ ৩০৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করেছে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা।
এর মধ্যে রমনা বিভাগে ৩৬টি গাড়ির মামলায় জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, লালবাগ বিভাগে ৪৯টি গাড়ির মামলায় জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, মতিঝিলে ২১টি গাড়ির মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৫৩ হাজার টাকা, ওয়ারী বিভাগে ২১টি গাড়ির মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৪৪ হাজার টাকা, তেজগাঁও বিভাগে ২৯টি গাড়ির মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা, মিরপুর বিভাগে ৯১টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, গুলশান বিভাগে ২৫টি গাড়ির মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং উত্তরা বিভাগে ৩৭টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৯৭ হাজার টাকা।
গতকাল শনিবার (৩ জুলাই) কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হাতে গ্রেফতার হন ৬২১ জন। শুক্রবার (০২ জুলাই) লকডাউনের দ্বিতীয় দিন গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় রাজধানী জুড়ে ৩২০ জনকে গ্রেফতাদ্হবেষকঃয়েছিল। ওইদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছিল ২০৮ জনকে।
লকডাউনের প্রথম দিন ( ১ জুলাই) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ অমান্য করে রাস্তায় বের হওয়ায় চার শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় রাজধানীতে ৪শর বেশি আটক। এরমধ্যে তেজগাঁও বিভাগের ১৬৭ জন, মিরপুরে ১০১ জন। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনগত ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি অর্ধশত যানবাহনকে মামলার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।