মোশাররফ হোসেন: “মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে, স্মৃতি যেন বেদনায় রংয়ে রংয়ে ছবি আঁকে।” ১৯৮১সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে এসেছিলাম।মাঝে ডঃ আবু ইউসুফ আলম উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে ওনার অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। তখন ছিলাম দৈনিক পূবকোণ পত্রিকার ঢাকা অফিসে। বিশ বছর পর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি গত শুক্রবার। সেবার ছিল সমাজ বিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদের সামনে আর এবার কলা অনুষদ ও চাকসু ভবনের পাশে জারুলতলায়। নৈসর্গিক দৃশ্যে ভরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এরকম পরিবেশে গেলে সবাই মুগ্ধ হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাবার পরিকল্পনা করি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম যাবার পর। তাও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ শিরিন আক্তার এর আমন্ত্রণ পেয়ে। চট্টগ্রামের সিনিয়র ফটো জার্নালিস্টস ও মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল আলম মনজুর অনুরোধে সাংবাদিক জহুরুল আলমসহ সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে যাই চিরচেনা শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য চত্তরে।
ঢাকের তালে তালে, সুরের মূর্ছনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ শিরিন আক্তার, উপ উপাচার্য ডঃ বেণু কুমার দে, সাবেক উপ উপাচার্য ডঃ আলাউদদিন আহমেদ, ডঃ মুনতাসীর মামুনসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে বেলুন উড়িয়ে দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর বিজ্ঞান ও কলা অনুষদ প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা মিলে যায় জারুলতলায়। অতঃপর আনন্দলোকে মংগোলালোকে গানের সাথে নৃত্য ও নাট্যকলা বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের পরিবেশনা অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।
এর মধ্যে প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডঃ হাসান মাহমুদ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বক্তৃতাকালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠক্রম যুগোপযোগী ও গবেষণামূলক করার জন্য প্রশাসন ও একাডেমিক কাউন্সিল এর প্রতি আহ্বান জানান। এর আগে বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, উপ উপাচার্য বেণু কুমার দে, সাবেক উপ উপাচার্য আলাউদ্দিন আহমেদ, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল হক শাহ চৌধূরী, নাজিম উদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ অনান্য আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিকেলে সাংস্কৃতিক পর্ব ছিল মনোমুগ্ধকর ।