ওশেনিয়া মহাদেশের ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি। সেখানে মাত্র ৯ মিলিয়ন বা ৯০ লক্ষ মানুষের বসবাস। কিন্তু এত মানুষের জন্য চিকিৎসক আছে মাত্র ৫০০ জন। ফলে বর্তমানে মহামারি কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রোগী সামাল দিতে বেগ হচ্ছে সরকারের।
আজ রবিবার (২৮ মার্চ) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে পাপুয়া নিউগিনিতে করোনা মহামারির সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, কেবল চলতি মাসে এখন অবধি ৪ হাজার ৬৬৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৯ জন।
অথচ গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে করোনা রোগী শনাক্ত হয় মাত্র ১ হাজার ২৭৫ জন। প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২০২০ সালের ২০ মার্চ।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমেতে, কেবল গত শুক্রবারেই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ৫৬০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা এখন অবধি একদিনের হিসেবে সর্বোচ্চ। জেমস মারাপে বলেছেন, ব্যাপকভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হওয়াতেই এমনটা হচ্ছে।
সরকার জানিয়েছে, পুরো দেশে মাত্র ৫০০ চিকিৎসক রয়েছে। তাদের দিয়ে এই মুহূর্তে এত বিশাল সংখ্যক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভবপর হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এমতাবস্থায় সতর্ক করেছে এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো।
জানা গেছে, পাপুয়া নিউগিনিতে থাকা হাসপাতালগুলোতে কেবল ৫ হাজার বেড রয়েছে। সারা দেশে নার্সের সংখ্যা ৩ হাজারেরও কম এবং স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে ৩ হাজার জন।
দেশটির জনগণ অভিযোগ জানিয়েছে, বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি করাতে চাচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। প্রায় সব হাসপাতালেই বেড সংখ্যক।