মোশাররফ হোসেন: আমি ফুটবল ভালবাসি। প্রাণের চেয়ে বেশি ।বাংলাদেশের ফুটবল জাগরণ তুলতে হলে তৃণমূলে যেতে হবে । জেলা ফুটবল লীগ নিয়মিত করতে হবে । বাংলাদেশের আদর্শবান ফুটবল খেলোয়াড় ও সংগঠক বাদল রায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের গত নির্বাচনের সময় ভযানক অসুস্থ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছিলেন ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং অলিম্পিক এসোসিয়েশন, বাফুফের নেতৃত্বে থাকার পরও অমায়িক ও আদর্শবান বাদল রায় চিরবিদায় নিয়েছেন।তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং পরিবারের সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তিনি রেখে গেছেন তার আদর্শবান জীবন । কিছু চাইতে জানতেন না ।
২০১৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে অসুস্থ হলে পোরোধানমনতিরি শেখ হাসিনার সরাসরি উদ্যোগে সিংগাপুর চিকিৎসা শেষে ফিরে আসার পর কিছুটা সুস্থ ছিলেন । তবে চলাচলের সমস্যা রয়ে যায়। বাফুফে নির্বাচন নিযে টরনটো থেকে আলাপে জানতে চেয়েছিলাম, আপনি তো সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে পারেন । আপনাকে তিনি খুব পছন্দ করেন বলে জানি।
জবাবে কিছুটা অভিমানের সংগে বলেন, আমি ফুটবল ফেডারেশনে পরিবর্তন চাই। ফুটবলে জাগরণ তুলতে হবে ।তাই অসুস্থ অবস্থায় নির্বাচন করতে চাই। এটা নেত্রীকে বলতে চাইনা। উনি তো সব খবর জানেন। সভাপতি পদে নির্বাচন করতে গিয়ে উরধোচাপে পড়ে গেলন। কিছু মধ্যসততো সুবিধাভোগী মানুষ নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ দূষণ করলেন । অথচ বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিনের প্যানেল ছিল অর্থ, বৈভব ও ক্ষমতার অধিকারী । ভোট যুদ্ধে জয় পরাজয় আছে। এটা ক্রীড়াংগণের আদর্শ । মাঠের চিরায়ত ধারা সংস্কৃতি । এটাকে রাজনীতির মাঠে উদাহরণ দেয়া হয়। তা মনে রাখা হয়নি।
বাদল রায়ের প্যানেলে সহ সভাপতি সহ কয়েকজন সদস্য জিতলেন।হেরে গেলেন বাদল , শেখ আসলাম,বাবলু জনিসহ সহ অন্যান্যরা। আসলে ভোটারদের সাধারণ সভার আগে হোটেলে থাকার ব্যাবস্থা করে সবকিছু ঠিকঠাক করে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে । নির্বাচনে জিতে কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলে জাগরণ তুলতে হলে তৃণমূলের যাবার ঘোষণা দিযেছেন । তার কথার সংগে কাজে মিল থাকুক এটাই দেখার বিষয় । ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু ও ফুটবল খেলোয়াড় বাদল রায় আচরণে অমায়িক ছিলেন । সবাইকে কাছে টানতে পারতেন। খাওয়ার সময় সবাইকে নিযে খেতেন। ।
এমনকি নিজের পারিশ্রমিকের টাকা না নিযে মোহামেডানের অননো খেলোয়াড়কে দিতে বলতেন । মোহামেডান ক্লাবের এমন খেলোয়াড় আর নেই । সবাই যখন টাকা নিতেন তখন বাদল ক্লাবকে দিতেন । গার্মেনটস ব্যাবসায় খুউব ভালো আয় ছিল এটা মনে হয়নি।কিন্তু সহযোগি খেলোয়াড় সালাম মুর্শিদী অনেক বড় গার্মেনটস ব্যাবসা করছেন । নেতাও হয়েছেন। সে তুলনায় জনি, কানন, সাব্বির বড় কিছু করতে পেরেছেন কী । অবশ্য এজন্য ভাগ্যবান হতে হয়।
অথচ মধ্যমাঠে খেলা সৃষ্টির মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ঢাকা মোহামেডান ক্লাবকে জয় তুলে নিতে মূখখো ভূমিকা পালন করে বাদল রায ইতিহাস গড়ে ছেন। ঢাকা লীগে এক বছরে সালাম মুর্শিদীর ২৭টি গোলের উৎস ছিলেন বাদল রায় ।এটা সালাম সাক্ষাত্কারে বলেছেন । জর্জ ম্যাকওযা, রশিদউললাহ, অমলেশ সেন, আশীষ ভদ্র, বাদল রায়, খোরশেদ বাবুল, বাবলু, মহসিন, মানিক, সাব্বির , রূপু, ইকবাল আরমানসহ আজও যারা খেলা তৈরি করে চলেছেন মাঠে তাদের অবদান সরণীয় হয়ে থাকবে। তবে তা যেন হয়,”আমার এ ভালবাসা,,, জানিগো সেদিন,,ক্ষণিকের ভাল লাগা গো,,।