মোশাররফ হোসেন: অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জানুয়ারিতে পাবে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ ঢাকায় সাংবাদিকদের একথা জানান ।
এদিকে টিকা বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য সচিব রাজভূষণ আজ বলেন, বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাবে । নয়া দিল্লি এবিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও বলেছেন, কোন দেশে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই ।
অপরদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতি মাসে ২৫লক্ষ টিকা প্রদান করবে । এবিষযে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী আবদুল মান্নান বলেছেন টিকা ক্রয় করতে সরকার ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে এ টিকার দুই ধরনের ডোজের তথ্য বিশ্লেষণে একটিতে ৯০ শতাংশ এবং অন্যটিতে ৬২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে।
অর্থাৎ, গড়ে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ টিকা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তবে ডোজের মাত্রা পরিবর্তন করে দিলে তা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
মানুষের ওপর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষে সোমবার এ টিকার কার্যকারিতার তথ্য প্রকাশ করেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা।
টিকার দৌড়ে থাকা দুই মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ৯৫ শতাংশের মত কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
তবে অক্সফোর্ডের টিকা তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা এবং সহজে সংরক্ষণযোগ্য বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, বিভিন্ন বয়স শ্রেণি, এমনকি বয়স্কদেরও যে এই টিকা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে পারে, পরীক্ষায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্ট বলেন, “কোভিড-১৯ যে বিপর্যয় ডেকে এনেছে, তার অবসানের জন্য এই টিকা ব্যবহারের পথে আমরা আজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।”
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, আগামী এক বছরে তারা পুরো বিশ্বের জন্য তিন বিলিয়ন ডোজ টিকা তৈরি করবে। যুক্তরাজ্য সরকার ইতোমধ্যে এর ১০ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়ে রেখেছে।
অক্সফোর্ডের এই টিকা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া। বাংলাদেশও ভারত থেকে ওই টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য চুক্তি করেছে।