বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের আলমগীর নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযানে গিয়ে রাম দা’র কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই র্যাব সদস্যসহ চার জন। পরে অতিরিক্ত র্যাব সদস্যরা গিয়ে ফের অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ লোকমান হাকিম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলীয় গন্ডামারায় রবিবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত র্যাবের অভিযানে এসব ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় সোমবার বিকালে র্যাব সদস্যরা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় অস্ত্র আইন ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার লোকমানকে থানায় হস্তান্তর করেছে। সন্ত্রাসীদের দা’র কোপে গুরুতর আহত র্যাব সদস্যরা হলেন- নায়েক ওবায়দুল হক সরকার, কনস্টেবল মোস্তফা কামাল। র্যাবের সোর্স মুজিবুর রহমান (৩৫) ও আনোয়ার হোসেনও (৩৪) আহত হয়েছেন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
র্যাব সদস্যদের আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল আলম। তিনি বলেন, ‘গোপন সূত্রে জানতে পারি কমপক্ষে ৮ মামলার আসামি দুর্ধর্ষ ডাকাত মো. আলমগীর প্রকাশ আলম ডাকাতের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে ইয়াবা বেচা-কেনার প্রস্তুতি নিয়েছে। আমাদের দল অভিযানে গেলে আলমগীর ডাকাত পালিয়ে যায়। ওইসময় তার ছেলে লোকমান হাকিমকে (২০) ১টি এলজি ও ১ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা লোকমানকে ছিনিয়ে নিতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, কিরিচ ও লাঠি নিয়ে র্যাবের ওপর হামলা চালায়। পরে র্যাব সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়।’
বাঁশখালী থানার এসআই মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘র্যাব-৭-এর পুলিশ পরিদর্শক মো. শহীদুল আলম ও এসআই বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে সন্ধ্যায় পৃথক দুইটি অস্ত্র আইন ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছন। ওইসব মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৬/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে।’