জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনা প্রশাসনের আচরণ জাতিসংঘের গণহত্যা নীতির মানদণ্ড পূরণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক নিউলাইনস ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বিবৃতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক আইন বিশ্লেষক, যুদ্ধাপরাধ এবং জিনজিয়াং অঞ্চল নিয়ে কাজ করা একদল বিশেষজ্ঞ। এটি উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনা প্রশাসনের আচরণ প্রসঙ্গে প্রকাশিত প্রথম স্বাধীন প্রতিবেদন। এ খবর প্রকাশ করেছে দ্য কোরিয়া টাইমস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অঞ্চলটিতে উইঘুরদের টার্গেট করে চীনা প্রশাসনের নীতি ও আচরণকে অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ, সেখানে সংখ্যালঘু জাতিটিকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চীনের এক সরকারি কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, উইঘুরদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের লক্ষ্য তাদের বংশ, শিকড়, যোগাযোগ ও ধর্মীয় অনুভ‚তিকে ধ্বংস করে দেয়া।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, জাতিগতভাবে উইঘুরদের ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি নীলনকশা অঙ্কন করেছেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণের যুদ্ধ নামে ২০১৪ সালে তিনি এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন।
জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রার যে কোনো একটি পূরণ হলেই সেটিকে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দেয়া যায়। এর মধ্যে গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা ও তাদের ক্ষতিসাধন করা, উইঘুরদের ক্ষেত্রে এই দুটি শর্ত লঙ্ঘন করেছে চীন সরকার। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এ দুটি আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। অবশ্য চীন সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করে আসছে। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এগুলোতে মিথ্যা ও অযৈাক্তিক বলে বিবৃতি দিয়েছেন।