ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান অভিযুক্ত রংপুর মেট্রোপলিটনের ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলামকে (৩৫) এখনো গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই নারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পিবিআই। এছাড়া আরও দুইজনকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। তাদেরকে নতুন নতুন কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেফতাররা হলেন- লালমনিরহাট সদরের পূর্ব মাজাপাড়া এলাকার করি মাহমুদের ছেলে বাবুল হোসেন (৪৫) এবং পূর্ব থানা পাড়ার মৃত কাচু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)।
পিবিআই জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এএসআই রায়হানের বাড়ি বগুড়ায় বলে জানা গেছে। গণধর্ষণের এই মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের কাছে থাকলেও রায়হানকে পুলিশি হেফাজতে রংপুর পুলিশ লাইন্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে গণধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে সুমাইয়া আক্তার মেঘলা, সুরভি আক্তার শম্পা নামে দুই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পিবিআই মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠায়।
এ তথ্য ইত্তেফাককে নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আবু বাসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার অন্যদের গ্রেফতার করতে অভিযানে থাকায় বিকালে তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। আমরা আবেদনে বলেছি রিমান্ড চাওয়া হবে। বুধবার তাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাইবো।
তিনি বলেন, মেঘলা স্বামী পরিত্যক্তা। তার স্বামীর বাড়ি সাহেবগঞ্জে এবং বাবার বাড়ি গুড়াতি পাড়ায়। আর সম্পাও স্বামী পরিত্যক্তা। তার বাড়ি নগরীর কামারপাড়ায়। এ দুজন নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে দেহ ব্যবসা করতেন।
তদন্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, এএসআই রাহেনুলের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তারা খতিয়ে দেখছে। বিশেষ করে হারাগাছ থানায় থাকাকালীন থানার শীর্ষ কর্মকর্তার দাপট দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগও খতিয়ে দেখছে তদন্ত সংস্থা।
পুলিশ, মামলা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, পূর্ব সম্পর্কের সূত্র ধরে এসএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে একটি বাড়িতে নিজে ধর্ষণ করার পর আরো কয়েকজন যুবকদের দিয়ে ধর্ষণ করায়। ঘটনার পর মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওসিসিতে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।