এক মাস ১০ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কোভিড পরবর্তী জটিলতার কারণে তার হার্ট, কিডনি এবং লিভার আক্রান্ত হয়েছে। এসব উপসর্গের নিরাময়ের চিকিৎসা চলছে। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
এফ এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে এক মাস পর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওখানে রেখেই তার নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। ফলে আরও কিছুদিন তাকে হাসপাতালেই থাকতে হবে। এ ধরনের রোগীর অবস্থা কখন কি হয় বলা মুশকিল। সুতরাং তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলছেন, তার পোস্ট কোভিড যে জটিলতার পাশাপাশি তার অন্যান্য পুরানো রোগগুলো আগের মতোই আছে। আগামী কয়েক দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। খালেদা জিয়ার পোস্ট কোভিড জটিলতার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এটাকে বড় ধরনের উন্নতি বলার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া এখনও তরল জাতীয় খাবার খাচ্ছেন। তিনি এমনিতে কম খাবার খান। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাইরে থেকে অর্থাৎ তার আত্মীয়-স্বজনরাই চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়াযী খাবার নিয়ে আসেন। খালেদা জিয়া সেগুলো খান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের বাইরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার ছাড়া অন্য কেউ তাকে দেখতে হাসপাতালে যান না।
গত ১১ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হন খালেদা জিয়া। ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। করোনার কারণে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে ৩ মে সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত ৩ জুন তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।