অনেক সমালোচনা, টিম ম্যানেজমেন্টের সরাসরি হস্তক্ষেপের পর টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটকিপিং ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এখনো ওয়ানডে, টি-২০ তে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে ক্রমাগত ডুবিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। বছরের পর বছর তার জঘন্য, দৃষ্টিকটু কিপিং বাংলাদেশের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজ যার তরতাজা প্রমাণ। যেখানে কিপার মুশফিক দুটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন, যা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে। রানআউটের সুযোগ নষ্ট করেছেন। যেখানে স্পষ্ট যে, কিপিংয়ের মৌলিক নিয়মই জানা নেই তার। কিপিংটা ব্যাটিংয়ে সাহায্য করে— এমন দাবি করেই গ্লাভসে আগলে রেখেছেন তিনি। যদিও বাস্তবতা হলো তার কিপিংয়ে বাংলাদেশের উপকৃত হওয়ার সুযোগ নেই। দলে লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুনের মতো কিপার থাকার পরও মুশফিকের কিপিং করা নিয়ে সমালোচনা চলছে ব্যাপক। সবার প্রশ্ন কবে কিপিং ছাড়বেন মুশফিক?
বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলছেন, কিপিং ছাড়ার সিদ্ধান্তটা মুশফিকের উপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। গতকাল এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এ সিদ্ধান্তটা নেওয়ার জন্য মুশফিকই সেরা ব্যক্তি যে সে এখন কিপিং গ্লাভসটা তুলে রেখে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেবে কি না। এই সিদ্ধান্তটা আমিও ওর কাছেই রাখতে চাই।’
ক্রাইস্টচার্চে জিমি নিশাম, ওয়েলিংটনে নিকোলসের ক্যাচ ফেলেছেন মুশফিক এবং ইনিংসের শেষ বলে শিশুতোষ ভুলে রানআউট করতে পারেননি ড্যারেল মিচেলকে। একই ভুল তিনি করেছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে কেন উইলিয়ামসনকে রানআউট করতে গিয়ে। গতকাল সুজন বলেছেন, ‘এটা ও (মুশফিক) চিন্তা করবে যে, যেহেতু লিটন-মিঠুন আছে, আমার কিপিংটা আগের মতো হচ্ছে না, ওদের একজনকে গ্লাভসটা ছেড়ে দেব কি না। এটার সিদ্ধান্ত ও নিলেই সবচেয়ে ভালো হবে।’