মোশাররফ হোসেন : করোনার ২য় ঢেউ রুখে দিকে টিকা আসছে । ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩টি টিকা প্রয়োগের জন্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে । মোট ৯টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছিল গত আগস্ট সেপ্টেম্বরে ।তবে বিশ্ব পরাশক্তি আমেরিকা , ইংল্যান্ড , রাশিয়া ,চীন মহামারি করোনা থেকে মানুষ বাঁচানোর চেয়ে টিকার বাজার দখলের প্রতিযোগতিা করছে , এটা কাম্য নয় ।
ব্শ্বি স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্রের আগে টিকা প্রয়োগে মহাবিপদ ডেকে আনতে পারে, বিশ্ববাসি সাবধান । তবে কানাডা আছে মানুষ বা্চাঁনোর কল্যাণে । মানুষ মানুষের জন্য…. জীবন জীবনের জন্য…, দুর্বল মানুষ যদি.. পার হয় তোমাকে ধরে বল কী তোমার ক্ষতি .. ।
নিজদেশের মানুষকে টিকা প্রদানের পাশাপাশি বিশ্বমানবতার কল্যাণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন গ্লোবাল অ্যাকসেস প্রোগ্রামের (কোভাক্স) জন্য ২২ কোটি মার্কিন ডলার জমা দিয়েছে কানাডা । এখান থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা নিয়ে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো যাতে টিকা পায় সেজন্য আরও ২২ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দেবে কানাডা ।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্ট হিলে সংবাদ সম্মেলনে সমপ্রতি এ ঘোষনা দিয়েছেন । সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন , করোনা থেকে কানাডাবাসীদের বাঁচাতে টিকা তৈরিতে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের ব্শ্বি খ্যাত অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ২ কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য কানাডা চুক্তি করেছে । তিনি এক সাংবাদিকের ভারচুয়াল প্রশ্নের উত্তরে বলেন , এটি কানাডার ষষ্ঠ চুক্তি ।
এর আগে আরও ৫টি ঔষধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে চুক্তি করেছে কানাডা । প্রতিষ্ঠানগুলো হল সানোফি, গ্লক্সোস্মিথক্লাইন,জনসন অ্যান্ড জনসন ,নোভাভ্যাঙ, ফাইজার মডার্না । তিনি আশ্বস্থ করে বলেন , কানাডাবাসি দ্রুত নিরাপদ টিকা পাবেন ।
উল্লেখ্য করোনার ২য় ঢেউ শুরুর সাথে সাথে প্রতিটি রাজ্যে মহাসতর্কতা ঘোষনা করা হয়েছে । তবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মনে রেখে জীবনধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে ।
অনলাইনে চলছে বিশ্ববিদ্যালয় ও পরীক্ষা । স্কুল চলছে সশরীরে ও অনলাইনে । বন্ধকরা হয়েছে নাইট ক্লাব,সিনেমা হল , জিমনেশিয়াম ও ফিটনেস সেন্টার । খাবার ও মদ কিনে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে । এমনকি প্রমোদতরি কোন বন্দরে আসা – যাওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে । খেলা চলছে দর্শকশূণ্য গ্যালারিতে । কার ও জীপে তিনজনের বেশি চলাচল করা নিষেধ করা হয়েছে । পাবলিক বাস ও পাতাল রেলে কঠোরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে । সকল প্রকার সমাবেশে ঘরে ১০ ও বাইরে ২৫জন বিধি মেনে চলতে হচ্ছে । শপিং মলে আবার কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে । তবে চাকুরি ও ব্যবসা চলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে । যাদের কাজ নেই তারা জরুরি ভাতা পাচ্ছেন গত মার্চ মাস থেকে । ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের দেয়া হয়েছে বিশেষ প্রণোদনা । সরকার ও ̄স্বাস্থ্যবিভাগ সম্মিলিতভাবে মহাদূর্যোগে কাজ করছে । জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে । এতে কানাডাবাসিও অভ্যস্ত হয়ে গেছে , এটাই অভিজ্ঞতা ।এখন মানুষ জানে কীভাবে চলতে হবে । বদলে যাওয়া জীবন তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে ।
বাংলাদেশের মানুষ জন্মগতভাবে সংগ্রামি । তারাও এখন জানে বেঁচে থাকার নিরাপদ পদ্ধতি কী । করোনা থেকে কিভাবে বাঁচতে হবে । সরকার ও জনগন একযোগে মহামারি থেকে মুক্তির জন্য কাজ করাই জরুরি বিষয় । সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন থেমে থাকবেনা , চলবে , এটাই সময়ের শিক্ষা ।