১. আপনার নিয়োগদাতার চাহিদাগুলো জানুন : নিশ্চিত হোন আপনি আপনার কম্পানির সংস্কৃতি বুঝতে পেরেছেন। অপনার প্রতিষ্ঠানটির সংস্কৃতির সঙ্গে উপযুক্ত এবং আপনার সুপারভাইজর বা ম্যানেজারের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক এবং পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূণ। নিশ্চিত করুন আপনি কম্পানিটির মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে আপনি তাদের কার্যকরভাবে ব্যবহারিক প্রমাণ দেখাতে পারবেন।
২. বাস্তব ও ইতিবাচক আচরণ করুন : যখন বিষয়গুলো ভালো বা খারাপভাবে ঘটতে থাকে, তখনও সবসময়ের মতো একটি মূল জায়গা থেকে দেখুন। যখন আপনার সহকর্মীরা আপনার বসের বিষয়ে অভিযোগ করবেন বা আপনার চাকরি নিয়ে অভিযোগ করবেন তখনো। এই সময় আপনার অভিযোগ তাদের প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কাছে অভিযোগের জন্য নিয়ে যেতে পারে। ফলে তখন সঠিক উপায়টি অবলম্বন করুন উন্নতির জন্য।
৩. একজন ভালো কর্মী হোন : ভালো কর্মী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই কোনো প্রতিষ্ঠানে। ফলে নিজের কাজ মনোযোগ দিয়ে, ভালোভাবে করতে থাকুন। তাতে আপনার উন্নয়ন ঘটবে।
৪. দলের সঙ্গে কাজ করুন : ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে সামগ্রিক অর্জনের দিকে খেয়াল রেখে কাজ করে যান। নিজের বিভাগে ভালো কাজ করুন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভালো কর্মী হোন। যাতে প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজের অর্জনগুলো যুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে।
৫. কাজে মনোযোগ দিন : কাজে মনোযোগ দেবার কোনো বিকল্প নেই কোথাও। কাজ আপনার উন্নয়নের জন্য সহায়ক যেকোনো প্রতিষ্ঠানে, যেকোনো কর্ম পরিবেশে।
৬. কাজে ডুবে থাকুন : কাজ কখনো ব্যর্থ হয় না কর্মপ্রতিষ্ঠানে। ফলে কাজের প্রতি দায়িত্ববান ও মনোযোগ কর্মীর কোনো বিকল্প নেই। প্রতিষ্ঠানের উন্নতিও এভাবে ঘটে।
৭. অতিরিক্ত দায়িত্বের আগ্রহ : অতিরিক্ত কাজ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণের আগ্রহ থাকতে হবে। নুতন কোনো কাজ, নতুন কোনো ব্যবস্থা, নতুন কোনো বিষয় কাজ হিসেবে নিন। সেগুলোর কোনোটিই অবহেলা বা অস্বীকার করবেন না। সবসময় নতুন কাজের জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশগ্রহণের মানসিকতা থাকতে হবে। তাতে অর্জন ঘটতে পারে। যারা নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজটি করতে নির্দেশের মুখোমুখি হন তারা ভালো কাজ করেন।
৮. কখনো শত্রুতা ও অন্যের বদনাম করবেন না: ভালো কাজের দিকে, নিজের কাজের দিকে মনোযোগী হোন। কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ান। কারো প্রতি শত্রুতা কখনো করবেন না। কারো বদনাম করবেন না। নিজের ভালো কাজগুলোকে ছড়িয়ে দিন। নিজের ভালো কাজের সংখ্যা বাড়ান। যেকোনো ধরণের ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয় একে, অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রতিষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় বা খারাপ হবে এমন যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকুন। সহকর্মীদের সঙ্গে কাজের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক রাখবেন না।
৯. যেকোনো ধরণের উত্তেজনা পরিহার করুন : খারাপ যেকোনো উত্তেজনা, খারাপ যেকোনো আচরণ, খারাপ যেকোনো সম্পর্ক, খারাপ যেকোনো কাজ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে করবেন না। তাতে আপনারই ক্ষতি হবে।
১০. যেকোনো তথ্য জানবেন না : আপনার প্রয়োজন নেই এমন যেকোনো তথ্য জানার প্রয়োজন নেই। তাতে আপনার তথ্যবহুল এবং তথ্যে ভারাক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। দিন শেষে কাজ আপনার, অন্য কোনো কিছু নয় কর্ম প্রতিষ্ঠানে।