বাংলাদেশ কনস্যূলেট জেনারেল, টরন্টোতে ১৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০৩ তম জন্মবার্ষকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ ঊদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যূলেট দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে। সকালে বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহনে কনস্যূলেট প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানসূচিতে ছিল বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ, বক্তব্য, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ, সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কেক কাটা এবং বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত আমন্ত্রিত বক্তাগণ জাতির এই স্মরণীয় দিনে মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব, দূরদৃষ্টিসম্পন দীর্ঘ রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সংগ্রামী জীবনের উপর আলোকপাত করেন। একই সাথে এই বছরের প্রতিপাদ্য স্মার্ট বাংলাদেশ স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন এর উপর গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন।
কনসাল জেনারেল জনাব মো: লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলার অবিসংবাদিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিসু কিশোরদের কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার শেখ পরিবারে বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধু শৈশব কাল থেকেই ছিলেন বির্ভিক, দয়ালু এবং পরোপকারী। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তাঁর নেতৃত্বের গুনাবলী বিকাশ লাভ করতে থাকে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন বাঙালির অধিকার আদায়ের একমাত্র আশ্রয়স্থল। শিশুদের প্রতি ছিল জাতির পিতার অপরিসীম মমতা। তিনি বিশ্বাস করতেন শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার। তারাই গড়ে তুলবে স্বপ্নের বাংলাদেশ।
সর্বশেষে জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। আগামীদিনের কর্ণধার শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত ও দেশেরব মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।