সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সূত্রে খবর পাওয়া যায়, মাগওয়ে শহরের বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে আছড়ে পড়ে চারটি রকেট। এছাড়াও মধ্য মিয়ানমারের মেইকটিলা বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতেও আঘাত হানে পাঁচটি রকেট।এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনাবাহিনী। এই ঘটনার নেপথ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি’র (কেআইএ) হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
দীর্ঘদিন ধরে চিনের সীমান্তবর্তী কাচিন প্রদেশের স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে লড়াই চালাচ্ছে কেআইএ। এপ্রিলের ১১ তারিখ টারপেইন ব্রিজের কাছে দুটি পুলিশ আউটপোস্ট ও সেনঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহী সংগঠনটি। তারপর থেকেই সেখানে বিমান হামলা শুরু করেছে মিয়ানমার সেনারা। ফলে ঘর ছাড়া প্রায় ৫ হাজার মানুষ। একইভাবে, থাইল্যান্ড সীমান্তে মায়ানমারের অন্যতম সংখ্যালঘু কারেন সম্প্রদায়ের জঙ্গি-গোষ্ঠী ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’-এর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। ফলে ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে মায়ানমারে তৈরি হয়েছে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মায়ানমারের রাশ নিজেদের হাতে নেয় সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় কাউন্সিলর অং সান সু কি-সহ নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্তাদের। তারপর থেকেই সে দেশে গণতন্ত্রের দাবিতে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। দ্য স্পেকটেটর।