মোশাররফ হোসেন: আসাম বেংগল রেলওয়ের প্রধান কার্যালয় হিসেবে সিআরবিতে ব্রিটিশরা ঐতিহ্যবাহী ভবন গড়ে তুলেছিল। আর বড় সাহেবদের জন্য পাহাড় চূড়ায় তৈরি করে বাংলো। পাহাড়তলী, টাইগার পাস ও পলোগেরাউনডে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য গড়ে তোলে আবাসিক এলাকা। পাহারতলিতে রেলওয়ে বগি ও ইঞ্জিন মেরামত কারখানা। সি আরবির নযনাভিরাম এলাকায় রোমান এসথাপততোর আদলে হাসপাতাল তৈরি করে। তবে কুমিরার পাহাড়ের চূড়ায় বিশেষায়িত হাসপাতাল বানিয়েছিল। পাকিস্তান আমল শেষে বাংলাদেশ রেলওয়ের কুমিরাথেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত কযেক হাজার একর জমি ।
রেলওয়ে এই কোটি কোটি টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের । এই সম্পদ রেলওয়ে এককভাবে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ইজারা প্রদান করতে পারে কি? এসব সুযোগ আইন করে রুখতে হবে ।
নতুবা কেউ হাসপাতাল, কেউ নিজের বাড়ি, কিংবা কোন কতৃপক্ষ ,শীর্ষ পদের কর্তাদের আবাসন, ব্যাবসা কেন্দ্র গড়ে তুলবে ।
আর ফযেস লেকের মত পাহাড়তলীর জোড়া দিঘিতে পর্যটন কেন্দ্র না বানিয়ে বাণিজ্য চলছে কীভাবে?
সিটি কর্পোরেশন ও সি ডিএকে নিযে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠুক । যাতে রাজস্ব আসবে। জনগণ ও পাবে তাদের বিনোদন কেন্দ্র।
খোরশেদ আলম সুজন যা বললেন:
বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রামে কোটি কোটি টাকার পাহাড় ,জলাধার ও স্থাপনা রয়েছে । সঠিক পরিকল্পনা ও যৌথ প্রকলপ বাসতোবাযন করলে যা হতে পারে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের রাণী। এটার জন্য দরকার সঠিক নেতৃত্ব । গড়ে তোলা যায় বিশ্ব পর্যটন কেন্দ্র । ভাটিযারি থেকে ফযেস লেক নানা মুখি বিনোদন কেন্দ্র, সীতাকুণ্ড থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও শহরের চলাচল মিলে মহাপরিকলপনা বাসতোবাযন করতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ । জাতীয় বিনোদন ও নকশা পোরনযন করে ভবিষ্যত কর্মসূচি নির্ধারণ করা জরুরি ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন জানিয়েছেন,চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীতে রেলওয়ের পরিত্যক্ত এবং অবৈধ্য দখলের জোড় ডেবা এবং ভেলুয়ার দিঘীকে পর্যটন স্পট করা হোক।
বিশালাকার এই দুটি জলাধার রেলের একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় নাম মাত্র মূল্য ইজারা দিয়ে, বছরের পর বছর পানিতে মাছ চাষের নামে
ইজারাদাররা যুগ যুগ ধরে পাড়ের জমি দখল করে কাচা-পাকা বসত ঘর এবং দোকান-পাট বানিয়ে ভাড়া নেয় স্থানীয় মাস্তান সিন্ডিকেটকে মাসোয়ারা দিয়ে।
এ সমস্ত অবৈধ্য দখলকারীদের হাত থেকে মূল্যবান জায়গা গুলোকে মুক্ত করে সরকারের পর্যটন বিভাগের আওতায় এনে দেশবাসীর বিনোদনের সুযোগ করে দেওয়া হোক। সি.আর.বি’র প্রস্তাবিত হাসপাতালটি পাহাড়তলীর রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় স্থাপন করা যেতে পারে।