মোশাররফ হোসেন: টরেন্টো সহ বিশ্বজুড়ে এখন বেদনাময় আলোচনা, জীবন সে তো পত্র পাতার শিশির বিন্দু… তবে খেলনা নয়। স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়। বাবা মার দূরবীণের দৃষ্টিতে থেকে বাংলাদেশে কোটি কোটি ছেলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ পড়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ।
কিন্তু তাতে কী? বাবা ও মায়ের শখ কিংবা উচ্চাশা বিদেশে পড়বে ছেলে মেয়ে। মায়ের আদর ও বাবার অনুশাসন মেনে পড়া ও প্রতিষ্ঠিত হলে জীবন ধন্য হয়ে যায়। কিন্তু একা বিদেশে পড়তে এলে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও ভিন্ন সংস্কৃতির প্রভাবে অনেকেই শেকড় হারায়।
আর যদি who care, dame care ভাব এসে যায় তাহলে পড়া আর শেষ হয়না। ভাল কিছু করা যায় না। ব্যতিক্রম আছে। অসাধারণ সাধনায় বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করার নিদর্শন রয়েছে। তা হাতে গোনা। অতিরিক্ত টাকা হাতে থাকলে বন্ধু জুটে যায়। তখন দিন রাত ফুর্তিতে মেতে ওঠে। আর তখনই বিপথগামী হয়ে ওঠে। এরা জীবনকে খেলনার মতো মনে করে। পরিবার ও নিজ দেশ ভুলে যায়। সামাজিক দায়িত্ব পালন করে না।
আজকের প্রজন্ম আমাদের আগামীর পথ দেখাবে। পরিবারের আশা পূরণ করবে। এটা সবাই চায়। সবাই তো সুখী হতে চায়… কেউ তা পায়,কেউ পায় না।
দূরবীণ আজকের প্রজন্মকে সামাজিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
টরেন্টোর বাঙালিরা গেল ১৩ ফেব্রুয়ারির সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের ৩ শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে মর্মাহত। সবাই পড়তে আসা ছাত্র ছাত্রীদের দায়িত্বশীল হবার আহবান জানিয়েছেন।
কেমন আছে নিবিড়, অ্যানজেলার কী খবর…
আইসিউতে কুমার বিশ্বজিৎ এর ছেলে নিবিড় এর অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। তবে তার মস্তিষ্ক সহ বিভিন্ন অংগের সার্জারি একটু সময় নিচ্ছেন সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
কারণ হৃদযন্ত্র এখনও সার্জারির উপযোগী নয়। অক্সিজেন খুলে রাখা ঝুঁকি মুক্ত নয়। পুড়ে যাওয়া অংশ প্লাস্টিক সার্জারি করে উন্নতির চেষ্টা চলছে। চোখে ও মাথায় আঘাত নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরিকল্পনা করেছেন। তারা কিছুটা সময় নিচ্ছেন। এরকম খবর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে
মৃত অ্যানজেলা বাড়ৈর চাচা স্টিফেন মৃধা টরেন্টোয় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল লুৎফুর রহমানকে জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি অ্যানজেলার মরদেহ ঢাকা পাঠানোর জন্য তারা বাংলাদেশ বিমানে বুকিং দিয়েছেন।
শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্ত মরদেহ একইভাবে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য কাজ করছেন তার আত্মীয়স্বজন ।
টরেন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল লুৎফুর রহমান জানান, মরদেহ বিমানে পাঠনোর কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মিসিসাগা র ইকো ও লোটাস একাজ করছে। তবে এজন্য পুলিশ রিপোর্ট, হাসপাতাল ছাড়পত্র, ইনসুরেন্স, মৃত্যু সনদ, কী ঔষধ দেয়া হয়েছে, কাগজ পত্র দিতে হবে। এসবই দ্রুত চলছে। সবশেষে মৃত্যু জনিতকারণে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বাতিল করে, বাংলাদেশ গমণ অনাপত্তি দেবেন টরেন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল। এরপর কার্গো এজেন্ট বিমান বন্দর থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। এসব দেখে বাংলাদেশ বিমান সাশ্রয়ী টিকেট দেবে বলে টরেন্টোয় কান্ট্রি ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন গতকাল জানিয়েছেন।
অপরদিকে আরিয়ান দীপ্তর পরিচিতি পাওয়া গেছে। ঢাকার নাখালপাড়ার ব্যবসায়ী এটিএম আলমগীরের কনিষ্ঠ পুত্র। ২০২১সালের ৩১ডিসেম্বর টরেন্টোয় আসে। নর্থ ইয়র্ক ব্রেমার কলেজে ডিপ্লোমা করে মাসখানেক আগে ইটোবিকক হামবার কলেজে ব্যবসায় পড়ছিল। ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন পালন করেন দীপ্ত ।