আশঙ্কার মেঘ কেটে গেছে। অনেক নাটকীয়তার পর বিশ্বকাপ খেলতে নির্ধারিত সময়েই রোববার (৩ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
তবে তার আগে ঘূর্ণিঝড় শাহীনের প্রভাবে ওমানের মাস্কাট বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর বিশ্বকাপ যাত্রা নিয়ে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। এমনকি এমনও খবর বেরোয় যে, বিকল্প পথে যাবে টাইগাররা। এরপর জানা যায়, নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে শেষমেশ এমন খবর উড়িয়ে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়েই টাইগার বাহিনী দেশ ছাড়বে।
এদিকে এরই মধ্যে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা।
উত্তর আরব সাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় শাহীনের প্রভাবে ওমানের মাস্কাট বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এতে বেশ কিছু ফ্লাইটের সময় পিছিয়ে গেছে। ফলে ফ্লাইট শিডিউল কয়েকদিন বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। আর তাই আজ বিকাল থেকেই শঙ্কা জেগেছিল টাইগারদের বিশ্বকাপযাত্রা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কা সত্যিই হলো।
বিসিবি সূত্র সময়টিভিকে জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার (৪ অক্টোবর) দেশ ছাড়তে পারে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
এদিকে দেশ ছাড়ার কথা থাকায় মাহমুদউল্লাহবাহিনী শনিবার করোনা পরীক্ষার নমুনা জমা দিয়েছেন। করোনার নমুনা দেওয়ার পর প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাসায় চলে যান। সেখানেই চলে হোম কোয়ারেন্টাইন। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে ওমানের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল।
অন্যদিকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতেই চলমান আইপিএল খেলছেন সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান। তাই তাদের করোনা টেস্টের কোনো সুযোগ নেই। তবে যেহেতু দুজনই আইপিল জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে আছেন, তাই তারা সরাসরি মাস্কাটে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনও।
কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিশ্বকাপের ১৪ দিন আগে ওমান যাওয়ার কথা ছিল টিম টাইগার্সের। ওমানে পৌঁছানোর পর এক দিন রুম কোয়ারেন্টাইনের পরপরই অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এরপর ওমানে একটানা চার দিনের অনুশীলনের পর ৮ অক্টোবর ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কথা ছিল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের। এরপর ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর। সেখানেও একদিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ১১ অক্টোবর থেকে পুনরায় অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এরপর আবুধাবিতে ১২ ও ১৪ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। ১৭ অক্টোবর শুরু বিশ্বকাপ বাছাই মিশন। সুপার-টোয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ড, ওমান আর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে লড়তে হবে বাংলাদেশকে।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশকে ’ডার্ক হর্স’ বলছে উইজডেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছে জনপ্রিয় এই সংবাদমাধ্যমটি। তবে বাংলাদেশকে ’ডার্ক হর্স’ বলার পেছনে কয়েকটি কারণও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
বাংলাদেশ এখনো কাগজে-কলমে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে অন্যদের মতো শক্তিশালী দল নয়। তবে সাম্প্রতিক পারফরমেন্স বেশ আশা জাগানিয়া। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে টিম বাংলাদেশ। টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় পেয়েছে টাইগাররা।