ক্রীড়া প্রতিবেদক: টানা দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। গত বছর শিরোপা জয়ের পর ট্রফি নিয়ে বরিশাল যেতে না পারলেও, এবার জিততে পারলে ট্রফি-ট্যুরের ঘোষণা আগেভাগেই দিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গতকাল রেকর্ডগড়া জয়ের পর তিনি দিন-তারিখ জানিয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল (রোববার) ট্রফি নিয়ে নিজেদের শহরে যাবে ফরচুন বরিশাল।
ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণীতে ট্রফি নিয়ে বরিশালে যাওয়া প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমরা গতবার (বিপিএল) জেতার পর বরিশাল আসতে পারিনি। এখন পর্যন্ত আমরা ঠিক করেছি, ৯ তারিখে (ফেব্রুয়ারি) আসব (বরিশাল)। আশা করি, বরিশালে যারা আছেন সবাই থাকবেন আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য। সব যদি ঠিক থাকে, এই ৯ তারিখে আপনারা আমাদের কাপসহ দেখতে পাবেন।’
টুর্নামেন্টের শুরুর দিকেই বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মিজানুর রহমান বলেছিলেন, দলের বড় সব পরিকল্পনাই আসে তামিমের পক্ষ থেকে। গতকাল শিরোপা জয়ের পর সেই কথারই ইঙ্গিত মিলেছে বরিশাল অধিনায়কের মুখে, ‘অবিশ্বাস্য (আবারও জিতলাম)। আমি মালিককে ধন্যবাদ দেবো। উনি দুর্দান্ত ছিলেন, আমি যা করতে চেয়েছি তিনি তা করতে দিয়েছেন। কে খেলবে, কে খেলবে না তা নিয়ে হস্তক্ষেপ করেননি। আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, যেটা আমি চেয়েছি। হারলেও কিছু বলেননি।’
চ্যাম্পিয়ন বরিশালের সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়ে তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘আমাদের দল অভিজ্ঞতায় ভরপুর ছিল। আমার রিশাদ (হোসেন), (তাওহীদ) হৃদয়, (নাজমুল হোসেন) শান্তদের মতো তরুণরা ছিল। আরিফুল হকের মতো তরুণকে খেলাতে পারিনি, এজন্য আমি হতাশ। খেললে আমরা বড় আরেক তারকা দেখতাম।’
প্রসঙ্গত, বিপিএলের একাদশ আসরের ফাইনালে গতকাল মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে নিজেদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা ধরে রেখেছে বরিশাল। শিরোপানির্ধারণী ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে চিটাগাং কিংস। ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হাতে রেখেই সেই লক্ষ্য পেরিয়েছে বরিশাল। যা বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানতাড়ায় জয়ের রেকর্ড।
এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসেও তামিমের কাছে ছিল রাজনীতির প্রশ্ন। ২০২৫ সালের বিপিএল শিরোপাজয়ী অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয় রাজনীতিতে নাম লেখানোর ইচ্ছে কি না। জবাবে বলেন, ‘রাজনীতিতে… এখন তো আমি রিটায়ার্ড, যদিও আসিও, এখন ওই আলোচনাটা হবে নাৃ। পরে আরো বললেন, ‘তবে আল্লাহর রহমতে এরকম কোনো প্ল্যান নেই।’
ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে তামিম বলেন, ‘ফিলিংটা তো ফ্যান্টাস্টিক। ওরা যেভাবে শুরু করেছিল মনে হচ্ছিল ২২০-২৫ চেইজ করতে হতে পারে। শেষ ৩-৪ ওভার আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে। আমরা খুব বেশি রান দেইনি, বাউন্ডারিও দেইনি। আমাদের হিসাবে ২০ রান তারা কম করেছে। এই উইকেটে ভালো শুরু করলে এই রান তাড়া করা সম্ভব ছিল।’
তামিম আরও বলেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে যা কথা হচ্ছিল প্রথম থেকেই একদম পাগলের মত মারতে হবে তা না। ৬ ওভারে যদি ৫০ রানের মধ্যে থাকি আমরা ম্যাচে থাকি কারণ শেষ দিকে আমাদের পাওয়ারহিটার আছে। ভালো শুরু পেয়েছি, (তাওহিদ) হৃদয়কে অনেক কৃতিত্ব দিতে চাই। প্রশ্ন উঠতে পারে, হৃদয় এভাবে খেলেছে কেন? আসলে হৃদয় এভাবে খেলার কারণেই কিন্তু আমি সেভাবে খেলতে পেরেছি। আমি কুইক শুরু পেলে ছন্দটা হারাতে চাই না। আমি তাকে বলছিলাম কানেক্ট না করতে পারলেও সমস্যা নেই সিঙ্গেল নিয়ে আমাকে দাও। আমি হ্যান্ডেল করব। বিনুরা প্রথম দুই ওভারে মনে হয় না ১০-১২ রানের বেশি দিয়েছে। আমি ভালো ফিল করছিলাম। অনেক জনের ব্যাপারে অনেক কিছু বলতে পারি কিন্তু রিশাদের দুইটা ছয় ছিল টার্নিং পয়েন্ট।’