মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের কাফাটিয়া-কৈতরা সড়কের বাইতরা ঘোনাপাড়া ব্রিজ নির্মাণের তিন বছর যেতে না যেতেই ধসে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পুটাইল, বেতিলা, মিতরা ও বলধারা ইউনিয়নের মানুষের। ব্রিজ ধসে পড়ায় প্রায় ৩ মাস ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মানিকগঞ্জ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাইতরা ঘোনাপাড়া এলাকায় ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের তিন বছর না যেতেই ব্রিজের পশ্চিম পাশের দুটি পাখা ধসে পড়েছে। ফলে ব্রিজটি নিজের দিকে ডেবে গেছে। এছাড়া দুই পাশের ও তলদেশের মাটি সরে যাওয়ায় ফাটল দেখা দেয়।
উপজেলার হাসলী গ্রামের আব্দুল আজিজ জানান, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাইতরা এলাকায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের ২/৩ বছর যেতে না যেতেই ব্রিজের পশ্চিম পাশের দুটি পাখা ধসে পড়েছে। এছাড়া দুই পাশের ও তলদেশের মাটি সরে যাওয়ায় ফাটল ধরেছে পুরো ব্রিজ। যেকোনো সময় ব্রিজটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে কাজ করলে এতো তাড়াতাড়ি ব্রিজটির এ অবস্থা হতো না।
কাফাটিয়া গ্রামের কবির হোসেন জানান, কাফাটিয়া থেকে বাইতরা মোড় পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র আড়াই কিলোমিটার। গাড়ি ভাড়া মাত্র ১৫ টাকা। ব্রিজটি ধসে যাওয়ায় বেতিলা মিতরা হয়ে ৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে আসতে হয়। এতে সময় ও টাকা দুটোই নষ্ট হয়। মানুষের চলাচলের স্বার্থে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা দাবি জানান তারা।
পুটাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল মোল্লা জানান, গত বছরের বন্যায় ব্রিজের তলদেশের মাটি সরে গিয়ে ২০ ফুট গভীর খাদ তৈরি হয়েছে। দুই পাশের মাটি ধসে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ৩ এপ্রিল মানিকগঞ্জ পিআইও অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি আরও জানান, সাময়িকভাবে মানুষের চলাচলের জন্য ব্রিজের উত্তর পাশ দিয়ে বিকল্প মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়া হবে।