মোশাররফ হোসেন: বিশ্ব জুড়ে যখন অর্থনৈতিক মন্দা, কঠিন সময় ঠিক তখন উত্তর আমেরিকার দেশ,শীর্ষ পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনট জো বাইডেন কানাডা সফর করেছেন।
শুধু তাই নয় কানাডার সংসদে ৪০মিনিট বক্তৃতাকালে বললেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশ কিন্তু এক আত্মা। আমাদের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম, গভীর। আমরা পাশাপাশি দেশ , গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কাছাকাছি। আমরা একে অপরের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য কাজ করছি।
পরিবার, সংস্কৃতি ও ব্যবসা মিলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। আমাদের শ্রমিকরা চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশে কাজ করে। বিনা ভিসায় সীমান্ত অতিক্রম করে। বেসবল, বাস্কেটবল, হকি খেলে। কিন্তু সময় হয়েছে সীমান্ত ঝুঁকি ও নিরাপত্তা জোরদার করা, আকাশে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ বন্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে আশ্রয় প্রার্থীর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র – কানাডা- মেক্সিকোর সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক।
কানাডার সংগে খাদ্য ও ঔষধ সহ, খনিজ সম্পদ সরবরাহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন ২.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যবসা হয়।
স্পিকার, শতাধিক সংসদ সদস্য, দুই দেশের মন্ত্রী, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। প্রতিদিন দুই দেশের মানুষের মধ্যে সীমান্তে দেখা হয়। নায়াগ্রাতে রয়েছে মৈত্রী সেতু ।
রেল ও আকাশ পথে নিয়মিত চলাচল :
দুই দেশের নতুন চুক্তি
এরপর বাইডেন ও ট্রুডো যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। দুই দেশের পররাষ্ট্র, সীমান্ত নিরাপত্তা, জ্বালানি বিষয় নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে সীমান্ত আশ্রয় প্রার্থী, যুক্তরাষ্ট্র – কানাডা বহিরাগমন, খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ, বিদ্যুত চালিত গাড়ি কানাডাতে তৈরি, জ্বালানি বিষয়, সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ, জলবায়ু বিষয়ক, গ্রেট লেক সংরক্ষণ, আকাশ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বহুবিধ বিষয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
কানাডা গ্রেট লেক সংরক্ষণ করার জন্য ৪২০ মিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদান করবে ।
এসময যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিলিকেন, নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান, জ্বালানি সচিব জেনিফার গেলেনহোলম এবং কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেলানো জলিসহ দায়িত্ব শীল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।