করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ এর সংক্রমণরোধে সরকারি বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
অস্ট্রিয়াতে সরকারের বাধ্যতামূলক টিকা নেয়ার নির্দেশনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। করোনার বিধিনিষেধ ও ভ্যাকসিনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনেও। এদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে ঋণ চুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রম নিয়ে চলমান আতঙ্কের মধ্যেই ভ্যাকসিনবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া। সরকারের বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহণের নির্দেশনা জারির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানী ভিয়েনার রাস্তায় জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। ডানপন্থিদের ডাকে অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভে এদিন অংশ নেন অন্তত পঞ্চাশ হাজার বাসিন্দা। এসময়, হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ভ্যাকসিনবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। অবিলম্বে ভ্যাকসিন নীতিমালা পরিবর্তনে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তারা। এমনকি, টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানানোর দায়ে জরিমানা বন্ধের দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা।
একজন প্রতিবাদকারী বলেন, আমি টিকা দিতে চাই কিনা সে বিষয়ে আমার ব্যাক্তিগত মত প্রকাশ করেছি। সাধারণ ভাবে আমরা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে নই তবুও বলবো এটা সম্পূর্ণ রুপে ব্যক্তিগত পচ্ছন্দ হওয়া উচিত।
আমি এখানে এসেছি কারণ ৮০’র দশকের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। যখনই সরকার বলে তারা অমাদের রক্ষা করতে চায় সে কথা সত্য হতে পারে না। তাদের কথা আমার বিশ্বাস হয় না । আমার মনে হয় ভ্যাকসিন অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং আমি চাই না তারা পশুদের পরীক্ষা করুক।
করোনার বিধিনিষেধ ও ভ্যাকসিনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনেও। শনিবার, রাজধানী মাদ্রিদে সরকারের করোনা নীতিমালার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়াও, আরেক শহর বার্সেলোনায় বাধ্যতামূলক কোভিড পাসপোর্টের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহণের সরকারি সিদ্ধান্তেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।
একজন বলেন, আমার মনে হয় কোভিড বাস্তব। কিন্তু আমাদের কোন মহামারী নেই। কোনই মহামারী নেই। এটা আমাদেরকে আটকে রাখার একটি কৌশলমাত্র। সেজন্য তারা এখন রেঁস্তোরা এবং বারের ভেতরেও পুলিশি পাহারা বসিয়েছে।
আরেকজন বলেন, সরকার এটি ভুল করছে। তারা আমাদের সকলকে প্রতারিত করছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে কারসাজি করছে তাই আমি চুপ থাকে চাই না আমি আওয়াজ তুলতে এসেছি।
গেল ২৪শে নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। এর পর থেকেই ইউরোপ, এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এর সংক্রমণ। আর তাই ওমিক্রন রুখতে বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহণ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করতে শুরু করে দেশগুলোর সরকার।